জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে মাত্র ৫০০ টাকার জন্য মুজাহিদ নামে ৫ বছরের একটি শিশুটিকে নদীতে ফেলে দিয়েছে মো. শামীম হোসেন (১৫) নামে এক কিশোর। ইতোমধ্যে ওই কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় দায়ও স্বীকার করে নিয়েছে সে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শনিবার (১১ মে) দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শামীম হোসেন নামে স্থানীয় এক কিশোরকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে স্বীকার করে যে, মুজাহিদের কাছে থেকে ৫০০ টাকা কেড়ে নেওয়ার জন্য কৌশলে তাকে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিল সে।
এর আগে শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার দুইদিনেও সন্ধান মেলেনি শিশুটির। নিখোঁজ মুজাহিদ ওই গ্রামের বাবুল আক্তারের ছেলে। স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়তো সে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এ সময় শামীম নামে কিশোরটি মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকাটা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। পরে মুজাহিদের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশল খাটিয়েও টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক নোটটি কেড়ে নেয় এবং তাকে ধাক্কা দিয়ে নদে ফেলে দেয়। এরপরে থেকেই নিখোঁজ রয়েছে মুজাহিদ। ঘটনার পরপরই ভয়ে গা ঢাকা দেয় শামীম। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামীমকে সন্দেহ করার কথা থানায় জানালে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে শনিবার সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে।
ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, মুজাহিদ সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।