বিদেশি বলে বাংলাদেশি পোশাক বিক্রির অভিযোগে বন্ধ হওয়া ‘সানভিস বাই তনি’ কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবার এলিফ্যান্ট রোডের সুবাস্তু এরোমা শপিং কমপ্লেক্সের লাখানি কালেকশনে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সেখানেও বিদেশি কাপড় কেনার কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় প্রতিষ্ঠানটি সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে অধিদফতর।
বুধবার (১৫ মে) রাতে এ অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল।
সানভিস বাই তনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, লাখানি কালেকশন থেকে পাকিস্তানি ড্রেস কিনেছিলো তারা। তবে লাখানি কালেকশনের স্বত্বাধিকারী জানান, সানভিস বাই তনি কর্তৃক পাকিস্তানি ড্রেস নামে যে ড্রেসটি বিক্রি করা হয়েছে, সেটি তিনি বিক্রি করেননি।
ভোক্তা অধিদফতরের আব্দুল জব্বার বলেন, গুলশানের পুলিশ প্লাজায় ‘সানভিস বাই তনি’ নামের প্রতিষ্ঠানে গত সোমবার অভিযান চালানো হয়। তখন কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা পাকিস্তানি বলে বিক্রির জন্য রাখা ড্রেসটি লাখানি কালেকশন থেকে কিনেছে।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানি বলে কিছু ড্রেস লাখানি কালেকশন বিক্রি করলেও কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। পরবর্তী সময়ে কিছু ক্যাশ মেমো তাদের কাছে পাওয়া গেলেও তাতে প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা দেয়া ছিল না।
ভোক্তা অধিদফতরের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, লাখানি কালেকশনের সব ধরনের কার্যক্রম জনস্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
তবে লাখানি কালেকশনের স্বত্বাধিকারী পারভেজ আনসারি মুন্না বলেন, আমার বিরুদ্ধে দেশি পোশাক বিক্রির অভিযোগ মিথ্যা। আমার কাছে কাগজপত্র আছে। ভোক্তা অধিদফতরকে কিছু কাগজ দেখিয়েছি। আরও কিছু কাগজ দেব। যেগুলো আমদানি করা হয়েছে এবং ভ্যাট ট্যাক্সের কাগজ এনে কাল দেখাব।
সানভিস বাই তনি’র কাছে কোনো পোশাক বিক্রি করেননি বলেও দাবি করেন আনসারি মুন্না।
এর আগে সোমবার (১৩ মে) এক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর পুলিশ প্লাজায় ‘সানভিস বাই তনি’র শোরুমে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। অভিযোগের সত্যতাও পায় তারা। অভিযানে পণ্য আমদানির কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হন বিক্রেতারা। ফলে প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে ভোক্তা অধিদফতর।
এদিকে দুই প্রতিষ্ঠানকে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় শুনানির জন্য ডেকেছ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।