নাটোরের লালপুর উপজেলার কামারহাটি তেনাচুরা এলাকার দুবাই প্রবাসী মো. সোহানুর রহমানের স্ত্রী শিউলি খাতুনকে (২৩) হত্যার ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিক জাকির হোসেনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে নিহত শিউলির মোবাইল ফোন, দুই জোড়া রূপার নুপুর, একটি স্বর্ণের চেইন, একটি স্বর্ণের নাকফুল, দুটি রূপার আংটি, এক জোড়া কানের দুল উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (৩০ জুন) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃত মো. জাকির হোসেন সুনামগঞ্জের গচিয়া গ্রামের মো. বিলাল মিয়ার ছেলে। রোববার দুপুরেই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে শনিবার (২৯ জুন) সকালে লালপুর উপজেলার কামারহাটি তেনাচোরা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে শিউলি খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। যা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, দুবাই প্রবাসী মো. সোহানুর রহমানের স্ত্রী শিউলি খাতুন প্রায় এক মাস আগে গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে তার বোন সোনালী খাতুনের ভাড়া বাসায় বেড়াতে যান। সেখানে জাকির হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরবর্তীতে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে জাকির ও শিউলির মধ্যে। এরপর গত ২৬ জুন জাকির হোসেন পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরে গাজীপুর থেকে প্রথমবারের মতো লালপুরে শিউলির বাড়িতে মামা পরিচয়ে বেড়াতে আসেন। প্রতিবেশীরা জিজ্ঞাসা করলে মামা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন শিউলি।
পুলিশ সুপার বলেন, ২৯ জুন ভোরে শিউলির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি ও মনোমালিন্য হয় পরকীয়া প্রেমিক জাকিরের। একপর্যায়ে জাকির শিউলির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ও বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে পালিয়ে যান। পরে নিহত শিউলির ভাই মো. রফিকুল ইসলাম (৩৪) লালপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে ওইদিন (২৯ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বাগাতিপাড়া উপজেলার মাড়িয়া এলাকা থেকে জাকিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাকির হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।