24 C
Dhaka
Thursday, November 21, 2024

জমির বিরোধের জেরে মসজিদে তালা দিয়ে অগ্নিসংযোগ, নিহত ১১

বুধবার নাইজেরিয়ার ক্যানোর গেজাওয়ায় একটি মসজিদে ফজরের নামাজের সময় আগুন দেওয়া হয়। ছবি : সংগৃহীত
নাইজেরিয়ার একটি মসজিদে তালা দিয়ে অগ্নিসংযোগ করেছেন এক দুর্বৃত্ত। এতে পুড়ে গিয়ে অন্তত ১১ মুসল্লি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে ৩৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।

বুধবার (১৫ মে) বুধবার দেশটির ক্যানোর গেজাওয়ায় ফজরের নামাজের সময় এই ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসি অনলাইনের।

বিবিসি জানিয়েছে, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় এক ব্যক্তি মসজিদের ভেতরে পেট্রোল ঢেলে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে দেন। পরে আগুন দেন। এ সময় প্রায় ৪০ জন মুসল্লি মসজিদটির ভেতর আটকা পড়েন।

আরো পড়ুন  লেবাননের খ্রিস্টান গ্রামে ইসরায়েলের বিমান হামলা, নিহত ১৮

বাসিন্দাদের বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, অগ্নিসংযোগের পরই মুহূর্তের মধ্যে মসজিদটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ভেতরে আটকে পড়া মুসল্লিরা তালা খোলার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে আর্তচিৎকার করছিলেন। একই মসজিদে বিস্ফোরণও হয়। বিস্ফোরণের শব্দ শোনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকে পড়াদের উদ্ধারে তৎপরতা চালায়।

এক বিবৃতিতে দেশটির পুলিশ বলছে, খবর পেয়ে ক্যানো শহর থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বোম্ব বিশেষজ্ঞসহ উদ্ধারকারীদের পাঠানো হয়। পরে পুলিশ নিশ্চিত করেছে এই হামলায় কোনো বোমা ব্যবহার করা হয়নি।

আরো পড়ুন  গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই, নিহত আরও অর্ধশতাধিক

ক্যানোর ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুন লাগার পর তাৎক্ষণিকভাবে তাদের খবর দেওয়া হয়নি। যদিও পরবর্তীতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে খুব দ্রুতই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

ক্যানোর ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র সামিনু ইউসুফ বিবিসিকে বলেছেন, স্থানীয়রা আগুন নেভানোর পর তাদের খবর দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে সাধারণত মানুষ তাদের খবর দেয়। কিন্তু এবার আগুন নিভিয়ে স্বাভাবিক অবস্থা আসার পর ঘটনাস্থল থেকে তাদের খবর দেওয়া হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন আটক ব্যক্তি স্বীকার করেছেন যে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বিভিন্ন সম্পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে তিনি এই ঘটনা ঘটান। তার দাবি, কয়েকটি পরিবারের কিছু সদস্য ভেতরে ছিলেন যাদের লক্ষ্য করে তিনি এই ঘটনা ঘটান।

আরো পড়ুন  নিউইয়র্কগামী ফ্লাইটে বোমা আতঙ্ক, জরুরি অবতরণ

স্থানীয় পুলিশ প্রধান উমার সান্দা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, অগ্নিসংযোগের এই ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আমরা আটক করেছি। ঘটনা সম্পর্কে তিনি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছেন।

এদিকে হামলার পরপরই এক মুসল্লি নিহতের কথা বলা হয়েছিল। আর আহতদের উদ্ধার করে ক্যানোর মুরতালা মুহাম্মদ বিশেষায়িত হাসপাতলে নেওয় হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাকিরা মারা যান।

সর্বশেষ সংবাদ