27 C
Dhaka
Tuesday, July 2, 2024

স্কুলের টয়লেটে ৬ ঘণ্টা আটকা শিশু, অতঃপর…

স্কুল ছুটির পর শিক্ষার্থীরা সবাই বাড়ি চলে গেছে। বিদ্যালয়ের দপ্তরিও শ্রেণিকক্ষ ও বাথরুমের দরজা বন্ধ করে চলে যান। বাথরুমের দরজা বন্ধ করে চলে যাওয়ায় আটকা পড়ে শিশু নিবাসে ফিরতে পারেনি প্রথম শ্রেণির ছাত্র রাফিন। দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা বাথরুমের দরজা ধাক্কাধাক্কির পর অবশেষে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টার বের হয়ে ওই শিশু।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর পাঁচখোলা বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, পাঁচখোলা এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে রাফিন। সে ৯ নম্বর পাঁচখোলা বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র। প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার স্কুলে গিয়েছিল রাফিন। তখন তাদের পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শেষে বেলা ১২টায় বিদ্যালয় ছুটির পর টয়লেটে যায় সে। পরে দপ্তরি খোকন খান টয়লেট চেক না করেই বাইরে থেকে রশি দিয়ে আটকে দেন।

আরো পড়ুন  কারও মা-বাবা খারাপ হলে, সন্তানরা দোষী না: এই বার্তা দিতে জীবন দিলাম

পরে শিশুটি দরজাটি খোলার জন্য ডাক চিৎকার করলেও কোনো সাড়া মেলেনি। এ সময় বারবার দরজা খোলার জন্য চিৎকার করায় শিশুটির গলা দিয়ে রক্ত বের হয়। পরে দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা ধাক্কাধাক্কির পর দরজা খুলে যায়।

ছুটির পর রাফিন শিশু নিবাসে না ফেরায় সেখানকার কর্মকর্তারা বিভিন্ন ছাত্র ও আত্মীয়ের বাড়িতে খুঁজতে থাকেন। পরে সন্ধ্যা ৬টার পর বিদ্যালয়ের তিনতলা থেকে দোকানদারকে বিদ্যালয়ের গেট খুলতে বলে। পরে স্থানীয়রা অসুস্থ রাফিনকে উদ্ধার করে শিশুনিবাসে নিয়ে যায়।

আরো পড়ুন  ‘কুরবান ঈদে সন্তানদের ১ টুকরা মাংস খাওয়াতে পারিনি’

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই শিশু নিবাসে গেলে শিশু রাফিন বিষয়টি বলার চেষ্টা করলে শিশু নিবাসের পরিচালক বাতেন খান কথা বলতে বাধা দেন।

স্থানীয় দোকানদার বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাথরুমের আটকা পড়ে রয়েছে। কোনোভাবে দরজা খুলে তিন তলার ব্যালকনি থেকে আমাদের ডাক দেয়। আমরা তাকে গিয়ে উদ্ধার করি।

আরো পড়ুন  রাসেলস ভাইপার ছড়িয়ে পড়ল ২৮ জেলায়, সবচেয়ে বেশি কোথায়?

৯ নম্বর পাঁচখোলা বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বেগম বলেন, ওইদিন আমি একটা মিটিংয়ে ছিলাম। বের হওয়ার আগ পর্যন্ত এমন কিছু আমার নজরে পড়েনি। আমি পরে জানতে পেরেছি। বিষয়টির সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তদন্ত করে বের করা হবে।

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল মামুন বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। যদি এরকম কিছু হয়ে থাকে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ