কথায় কথায় গ্রুপে-উপগ্রুপে সংঘর্ষে জড়ানো চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করেছে নগর ছাত্রলীগ। আর কমিটি ভেঙে দেওয়ার আনন্দে ছাত্রলীগের একাংশ ক্যাম্পাসে মিষ্টি বিতরণ করেছে।
শনিবার (১৮ মে) নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহম্মেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাংগঠনিক অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার দায়ে ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মাহমুদুল করিমকে সভাপতি ও সুভাষ মল্লিককে সাধারণ সম্পাদক করে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের যে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল তা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।
১০ টাকার খাম ১০০ টাকায় বিক্রি, পদ ব্যবহার করে অবৈধ টাকা উপার্জনসহ নানা অভিযোগে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তাল ছিল চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাস। আর এসব অনিয়মের পেছনে মাহমুদ-সবুজের হাত ছিল বলে অভিযোগ করেন একাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী।
এদিকে নগর ছাত্রলীগ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সাংগঠনিক অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার কারণে চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হলো।
এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সাইমুন বলেন, ‘ওরা ছয়টি বছর ১৮ হাজার শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে রেখেছিল। ছাত্রলীগের পদ ব্যবহার করে ডুপ্লেক্স বাড়ি বানিয়েছে, কিনেছে ফ্ল্যাট। তাই ওদের হাতে আমাদের ছাত্রলীগ নিরাপদ না, এটা আমাদের দ্বিতীয় বিজয়। এর আগে প্রথম বিজয় হয় শিবির থেকে ক্যাম্পাস উদ্ধার করার পর।’
সদ্য বিদায়ী সভাপতি মাহমুদুল করিম বলেন, ‘আমাদের ওপর সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সে রকম কোনো অভিযোগ তারা প্রমাণ করতে পারেনি। শুধু কিছু বিপথগামী ছাত্রনেতার স্বার্থের কারণেই আমরা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি।’
নিজেদের সফল দাবি করে তিনি বলেন, ‘যতদিন আমরা দায়িত্বে ছিলাম কখনো জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে আপস করিনি।’
কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণার পর ক্যাম্পাসে মিষ্টি বিতরণ করে ছাত্রলীগের একাংশ।