31 C
Dhaka
Saturday, July 27, 2024

প্রাইভেট পড়ানোর নামে ৩০ স্কুলছাত্রের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার, যেভাবে ধরা পড়লেন

প্রাইভেট পড়ানোর নামে স্কুলছাত্রদের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগে আব্দুল ওয়াকেল (৩৩) নামে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। এ সময় তার থেকে একটি মোবাইলফোন, দুইটি পেনড্রাইভ ও দুইটি হার্ডডিস্ক উদ্ধার করা হয়। শনিবার (১৮ মে) রাজশাহী মেট্রোর মতিহারের ওয়ার্ড নম্বর ২৯ শ্যামপুর ডাঁশমারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার (১৯ মে) সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যৌন নিপীড়নের দৃশ্যগুলো ভিডিও ধারণ করে অভিযুক্ত শিক্ষক নিজের মোবাইলফোন, পেনড্রাইভ, কম্পিউটার এবং এক্সটার্নাল হার্ডডিস্কে সংরক্ষণ করে রাখে। এরপর সার্চ ইঞ্জিন এসব তথ্য পৌঁছে দেয় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লোয়েটেড চিলড্রেন (এনসিএমইসি) নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে। বাংলাদেশে এই প্রতিষ্ঠানের সহযোগী হিসেবে কাজ করে সিআইডি। তাই এনসিএমইসি এসব ভিডিওকে ‘চাইল্ড অ্যাবিউজড’ কনটেন্ট হিসেবে সিআইডিকে পাঠায়। এ তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডির নিজস্ব ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্স টিম তদন্ত শুরু করে।

আরো পড়ুন  ছাত্রলীগ নেতার রেস্টুরেন্টে দেহ ব্যবসা, আটক ২

প্রাথমিক তদন্তে সিআইডি স্থানীয় ভুক্তভোগী কয়েকজন ছাত্র ও তাদের অভিভাবকের কাছ থেকে শিক্ষকের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। পরে শনিবার রাতে শ্যামপুর ডাঁশমারী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, মো. আব্দুল ওয়াকেল রাজশাহীর, কাটাখালীর আশরাফ মেমোরিয়াল মডেল স্কুলের একজন শিক্ষক। ছাত্রাবস্থায় সে তার এলাকায় টিচ-ইন্ট নামে একটি কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করতো। কোচিংয়ের শিক্ষকতা করার সময় থেকেই সে কোচিংয়ের কোমলমতি ছাত্রদের টার্গেট করে চকলেট এবং মোবাইলে গেমস খেলার প্রলোভন দেখিয়ে সখ্যতা গড়ে তুলতেন। পরবর্তীতে তাদেরকে ফুসলিয়ে তার কোচিং সেন্টারে অথবা নিজ বাড়িতে এবং কখনো কখনো আশেপাশের আম/লিচু বাগানে নিয়ে যেতেন। এ সময় ছাত্রদের চকলেট এবং পাবজি গেম ডাউনলোড করা মোবাইল ফোন হাতে দিয়ে পাবজি গেম খেলতে বলতেন। বাচ্চারা তখন জনপ্রিয় পাবজি গেম খেলা নিয়ে প্রচণ্ড ব্যস্ত থাকতো। এই সুযোগে তাদের সাথে অপ্রাকৃতিক যৌনচার করে সেগুলো ভিডিও করে রাখতেন তিনি।

আরো পড়ুন  যেসব অভিযোগে টিকটকার প্রিন্স মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে যে, অনার্স পড়াকালীন সময় থেকে ছেলে বাচ্চাদের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করতেন। এ নেশার কারণে তিনি বালকদের নিয়ে কোচিং সেন্টার চালু করেছিল। কোচিং সেন্টারে পড়া বাচ্চাদেরকে নানাভাবে প্রলুব্ধ করে বিভিন্ন গোপনীয় স্থানে নিয়ে যেতেন। এরপর অশ্লীল ভিডিও ধারণ করতেন।

গ্রেপ্তার শিক্ষক জানান, এই পর্যন্ত তিনি ৩০ জন স্কুল ছাত্রকে বলৎকার করেছেন। গ্রেপ্তারকালে তার ব্যবহৃত মোবাইলফোন, পেনড্রাইভ এবং কম্পিউটারের একাধিক হার্ডডিস্কে স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি ছাত্রদের বিপুল পরিমাণ নগ্ন ছবি, ভিডিও এবং চাইল্ড পর্নোগ্রাফির কন্টেন্ট পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন  দেশে গরু চোরাচালানের মাস্টারমাইন্ড সাদিক এগ্রোর ইমরান

এই ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ