বগুড়ার ধুনটে বিয়ের দাবিতে সৌরভ হাসান ইমনের (২২) বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে এক কলেজছাত্রী। এদিকে ওই ছাত্রীকে ডেকে এনে ইমন বাড়ি ছেড়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেল ৫টা থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে কলেজছাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শাকদহ গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ বাদুলীর ছেলে সৌরভ হাসান ইমন ধুনট সরকারি ডিগ্রি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কলেজছাত্রীর বাড়ি শেরপুর উপজেলার শালফা গ্রামে। তিনি শেরপুর শহরের একটি বেসরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
প্রায় সাড়ে ৩ বছর আগে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিশোরীর বাবা বিষয়টি টের পেয়ে মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেন। কিন্তু সেখানে বেশি দিন ঘর করতে দেয়নি ইমন। ইমনের কথায় হাতের মেহেদী না শুকাতেই এক মাস পর বিয়ে বিচ্ছেদ করে বাবার বাড়িতে আসেন ভুক্তভোগী। বাবার বাড়িতে ফিরে ইমনকে বিয়ের কথা বলেন তিনি। বিয়েতে রাজি হয়ে কিশোরীকে বাড়িতে এনে ইমন কৌশলে নিরুদ্দেশ হয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জানান, সাড়ে তিন বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। ফাঁদে ফেলে ইমন তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। এরপর থেকেই ইমনকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। বিয়ের কথা বলে বাড়িতে এনে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে ইমন। তার পরিবারও এ সম্পর্ক মানতে নারাজ। এ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। বিয়ে না করলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবেও বলে জানান তিনি।
এদিকে বাড়ি ছেড়ে পলাতক থাকায় সৌরভ হাসান ইমনের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে তার বাবা আব্দুর রশিদ বাদুলী বলেন, আত্মীয়তার সূত্রে মেয়েটির সঙ্গে আমার ছেলের পরিচয় থাকতে পারে। এর বেশি কিছু নয়। মেয়েটি আমার ছেলেকে ফাঁসানোর জন্য বাড়িতে এসে প্রেমের নাটক সাজিয়েছে।
ধুনট থানার ওসি সৈকত হাসান জানান, ওই কলেজছাত্রী এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।