28 C
Dhaka
Monday, July 1, 2024

‘আমি শুধু বাবার মুখটি দেখতে চেয়েছিলাম’

‘আমি আমার বাবার মৃতদেহের মুখটি একবার দেখতে চেয়েছি, কিন্তু হত্যাকারীরা এত নৃশংসভাবে বাবাকে হত্যা করেছে। তারা এত ভয়ঙ্করভাবে হত্যার পর বাবার দেহটাকে টুকরো টুকরো করে ফেলে দিয়েছে। আমি দেখতেও পারব না’, এভাবেই মৃত বাবার জন্য আহাজারি করেন সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

শুক্রবার (২৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় কালীগঞ্জের নিজ বাসার সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বাবার কথা বলতে গিয়ে এভাবেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে স্থানীয় নেতাকর্মীদের পরিকল্পনার বিষয়ে ডরিন বলেন, অবশ্যই কালীগঞ্জবাসী এ অপকর্মের জন্য প্রতিবাদ করবে, বিক্ষোভ করবে।

আরো পড়ুন  স্বামীর সামনে প্রেমিককে কল করে বিয়ের প্রস্তাব রেহেনার, অতঃপর...

তিনি বলেন, আপনারা শুনেছেন, ওবায়দুল কাদেরসহ দলের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, আমার বাবা কালীগঞ্জে কতটা জনপ্রিয় ছিলেন। সেই জনপ্রিয় মানুষটির জন্য কালীগঞ্জের মানুষ প্রতিবাদ করবে।

তিনি আরও বলেন, কালীগঞ্জের মানুষ তাদের প্রিয় নেতাকে হারিয়েছে, তারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করবে। কিন্তু সেই প্রতিবাদ বিক্ষোভে জনগণের ভোগান্তির কোনো শঙ্কা নেই। কুকুর মানুষকে কামড়ায়, মানুষ তো আর কুকুরকে কামড়ায় না। প্রধানমন্ত্রী আছেন, দলের সর্বোচ্চ অভিভাবকরা আছেন, তারা যেভাবে পরামর্শ দেবেন সেভাবেই হবে। আর আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করবে।

আরো পড়ুন  সম্পত্তির জন্য মাকে মেরে দাঁত ভেঙে দিলেন দুই ছেলে

এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক নাকি ব্যবসায়িক কারণ রয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ডরিন বলেন, আমি ব্যবসায়িক বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। আগে মূল পরিকল্পনাকারী ধরা পড়ুক, তদন্তের পর তার মুখ থেকেই বেরিয়ে আসবে কেন তারা আমার বাবাকে হত্য করল।

ঝিনাইদহের জনপ্রিয় একজন এমপির মেয়ের পাশাপাশি তিনি নিজেও সক্রিয় রাজনীতি করছেন, এই অবস্থায় বাবার অবর্তমানে তিনি কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতির হাল ধরতে চাচ্ছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনীতি তো অবশ্যই করব। প্রধানমন্ত্রী আছেন তিনি আমাকে যেভাবে পরামর্শ দেবেন, আমি সেভাবে চলার চেষ্টা করব। তবে এটা অনেক পরের বিষয়, এখন এগুলো নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না।

আরো পড়ুন  মৃত মোহনার মা-বাবা পেলেন জিপিএ-৫ পাওয়ার খবর

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার ও আমার পরিবারের সঙ্গে আছেন। বাবার হত্যার বিচার অবশ্যই হবে। প্রধানমন্ত্রী বাবা হারানোর ব্যথা বোঝেন।

বাবার মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে ডরিন বলেন, এখনো মরদেহের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মরদেহ আইডেন্টিফাই করতে পারলে দিল্লি হাইকমিশনসহ সে দেশের প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাকে জানাবেন। তাদের সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। প্রশাসন আমাকে আশ্বস্ত করেছে, ফলে আমার বিশ্বাস তারা কিছু একটা করবেন।

সর্বশেষ সংবাদ