ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানার ৪০ ঘন্টা পার হলেও সারাদেশে এখনো অচল ২৬ হাজারের বেশি মোবাইল টাওয়ার। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে চরম ভোগান্তিতে গ্রাহকরা। তবে দুর্গত এলাকার গ্রাহকের জন্য বিনামূল্যে ১০ মিনিট টকটাইম এবং ৫০০ এমবি ডাটা অফার করেছে দেশের তিনটি মোবাইল অপারেটর।
অনেক জায়গাতেই কল দিলে যাচ্ছে না; ফোনের ডিসপ্লেতে ভাসছে ‘নো নেটওয়ার্ক’। শুধু কথা বলায় নয়; জরুরি প্রয়োজনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে স্বজনদের পাঠানো যাচ্ছে না কোন টাকাও। ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানার পর সারা দেশে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে সারাদেশে থাকা ৪৫ হাজার মোবাইল টাওয়ারের মধ্যে অচল পড়েছিল প্রায় ৩৩ হাজার।
জেনারেটর দিয়ে কিছু টাওয়ার সচল করার কথা জানিয়েছে মোবাইল অপারেটররা। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুর ১২টা পর্যন্ত অচল রয়েছে ২৬ হাজার ২৫১টি মোবাইল টাওয়ার। গ্রাহকরা জানান, মোবাইলে নেটওয়ার্ক না থাকায় কারও সঙ্গে কথা বলা যাচ্ছে না; আর্থিক লেনদেনও ব্যাহত হচ্ছে।
বিটিআরসি বলছে, মোবাইলে নেটওয়ার্ক না থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে গ্রাহকরা। তবে অচল মোবাইল টাওয়ারে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে।
যদিও বুধবারের (২৯ মে) আগে নেটওয়ার্ক পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে না অপারেটররা। মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) মহাসচিব মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশে ২৬ হাজারেরও বেশি মোবাইল টাওয়ার অচল রয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে বুধবার পর্যন্ত সময় লাগবে।
এদিকে দুর্গত এলাকার গ্রাহকদের জন্য বিনামূল্যে ১০ মিনিট টকটাইম এবং ৫০০ এমবি ডাটা অফার করছে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক। দুই এবং তিনদিন মেয়াদে একজন গ্রাহক এই সুবিধা নিতে পারবেন একবার।