27 C
Dhaka
Sunday, June 30, 2024

ঝড়ের রাতে মায়ের মৃত্যু, ৩ দিন ঝুলিয়ে রেখে বাক্সে ভরে দাফন

বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে জলাবদ্ধতা থাকায় মৃত্যুর চার দিন পর উরফুল বেগম নামের এক নারীর দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বুধবার (২৯ মে) সকালে স্বজনরা কাঠের বাক্সে ভরে ওই নারীর দাফন করা হয়েছে।

মৃত উরফুল বেগম নামের ওই নারী মোরেলগঞ্জ উপজেলার বারুইখালী ইউনিয়নের পায়রাতলা গ্রামের হোসেম আলী হাওলাদারের স্ত্রী। তার ৭ ছেলে ও ৩ মেয়ে রয়েছে। তারা সবাই জীবিকার প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে থাকেন। দেলোয়ার হাওলাদার নামের এক ছেলে বাড়িতে থাকেন।

আরো পড়ুন  গোপনে বিয়ে করে নৃশংসভাবে খুন সৌরভ, সেই ইভা সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য

রোববার (২৬ মে) রাতে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। বাড়ির আশপাশে পানি থাকায় ওই নারীর মরদেহ দাফন নিয়ে শঙ্কায় পড়েন ছেলে দেলোয়ার হাওলাদার। পরে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ইউনুস আলী হাওলাদারের সহায়তায় বিশেষ পদ্ধতিতে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন মরদেহ। ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের তীব্রতায় তিন দিনেও ওই নারীর দাফন করা সম্ভব হয়নি।

আরো পড়ুন  রাসেলস ভাইপার নিয়ে যা বলছেন বেদেরা

ওই নারীর ছেলে দেলোয়ার হাওলাদার বলেন, মা মারা গেলেও, জলাবদ্ধতায় কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। বাড়িঘর সব পানিতে ভরে গেছিল তাই মারে মাটি দিতে পারিনি। একটু পানি কমছে, তিন দিন পর বড় কষ্টে মারে মাটি দিয়েছি।

বারুইখালী ইউনিয়ন পরিষদ নারী ইউপি সদস্য হালিমা বেগম বলেন, ওই নারী মারা গেছে ঘূর্ণিঝড়ের প্রথম দিনে। খবর পেয়ে গ্রাম পুলিশ আড়ার সঙ্গে বিভিন্নভাবে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে শরণখোলায় প্রচুর পানি ওঠে। আমাদের এখানে একটি সরকারি খাল আছে ওটা আটকে রাখার কারণে পানি কোথাও নামাতে পারেনি। এদিকে ওই নারীকে পানির জন্য দাফন দিতে পারেনি। গোসল করিয়ে বরফ দিয়ে রেখে দিয়েছিল। পানি একটু নামার পর সকালে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

আরো পড়ুন  ‘জীবনযুদ্ধে আমি পরাজিত’ স্ট্যাটাস দিয়ে শিক্ষকের আত্মহত্যা
সর্বশেষ সংবাদ