32.3 C
Dhaka
Tuesday, June 25, 2024

পৃথিবীর শেষ রাস্তা কোথায়, কী আছে এরপর?

কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছে পৃথিবী? এর শেষ সীমানাই বা কোন দেশে? কি আছে তার ওপারে? চলতে চলতে সড়ক শেষ হয়েছে নাকি ধু ধু মরুভূমি? এসব তথ্য অনেকেরই অজানা। বহু গবেষণার পর পৃথিবীর শেষ রাস্তা খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বলা হচ্ছে, আলো-অন্ধকারে মোড়া দীর্ঘ এই পথ বরফে ঢাকা থাকে। একা যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না এখানে। একটি দল তৈরি করার পরই সড়কটিতে যাওয়ার অনুমতি পাওয়া যায়। এই সড়কটির নাম ‘ই সিক্সটি নাইন’। যার অবস্থান নরওয়েতে।

আরো পড়ুন  বন্ধুদের সাথে নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ কিশোর

উত্তর মেরুর গা ঘেঁষে চলে যাওয়া পৃথিবীর শেষ রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১২৯ কিলোমিটার। এখানে একদিকে যেমন ভয়ানক গতিতে বাতাস বয়, তেমনই থাকে প্রচণ্ড ঠান্ডা। গ্রীষ্মকালেও এখানে বরফ পড়ে। আবার সমুদ্র উপকূলে হওয়ায় যে কোনো সময় ঝড় উঠতে পারে এখানে। তুষারপাত বা বৃষ্টি হলে আবার গাড়ি চালানো ভয়ানক বিপজ্জনক।

এই রাস্তায় দিনরাতের হিসাবও সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে শীতকালে ছয় মাস অন্ধকার থাকে এবং গ্রীষ্মকালে সূর্য একটানা দেখা যায়। এখানে শীতে দিন নেই আর গ্রীষ্মে রাত নেই। এখানে বছরের ছয় মাস দিন আর ছয় মাস রাত থাকে। এই এলাকার তাপমাত্রা শীতকালে মাইনাস ৪৩ ডিগ্রি এবং গ্রীষ্মে শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকে।

আরো পড়ুন  টানা ৩ দিন বৃষ্টি হতে পারে যেসব জায়গায়

কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো- এত প্রতিকূলতার পরও এখানে বহু মানুষ বসবাস করেন। ১৯৩০ সাল নাগাদ নরওয়ে সরকার ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’ তৈরির কাজ শুরু করে। পরে ১৯৩৪ সালের দিকে পর্যটকরা এখানে আসতে শুরু করে।

রহস্যে ঘেরা এই সড়ক ভ্রমণপিপাসুদের নেশা আরও বাড়িয়ে দেয়। প্রতি বছরই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বহু মানুষ অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় এই আশ্চর্যজনক সড়ক দেখতে যান।

আরো পড়ুন  জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছে হজ ফ্লাইট
সর্বশেষ সংবাদ