বিয়ের দাবিতে এনজিও কর্মীর বাড়িতে মা-মেয়ের অনশন
প্রায় চার মাস আগে ২০ বছর বয়সী মিতু খাতুন নামের এক কলেজ ছাত্রীর বাড়িতে যান ৩২ বছর বয়সী এনজিও কর্মী আব্দুল কাইয়ুম। তাদের পরিবারকে এনজিও শাখা খুলতে বিভিন্ন পরামর্শ দেন তিনি। মিতুর সঙ্গে সেখানেই পরিচয় হয় আব্দুল কাইয়ুমের।
তারপর মোবাইল নম্বর আদান প্রদান করেন দুজন। দিনরাত কথা বলতে বলতে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। তাদের এই সম্পর্ক আরও গভীর হলে আব্দুল কাইয়ুম মিতুকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। তারপর মিতুকে তার সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। মিতু সেই প্রস্তাবে রাজি হলে তারা দু’জনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতেন।
এভাবে চলতে থাকে তাদের প্রেম। এক সময় আব্দুল কাইয়ুমকে বিয়ে করতে বলেন মিতু। কিন্ত কাইয়ুম সেই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে উল্টো তারর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
এরপর কাইয়ুমের বাড়িতে খোঁজ করতে যান মিতু। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন কাইয়ুম এর আগেও দুই বিয়ে করেছেন। চাচাতো বোনের সঙ্গেও তার সম্পর্ক ছিল। সেখান থেকে মিতুকে তাড়িয়ে দেন কাইয়ুমের পরিবার।
সোমবার (৩ জুন) দুপুরে মিতু ও তার মা কাইয়ুমের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। তাদের পরিবারের সদস্যরা দরজায় তালা দিয়ে রাখলে হাতুড়ি দিয়ে সেই তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করা হয়।
মিতু ও তার মা বলেন, মিতুকে বিয়ে না করা পর্যন্ত তারা ওই বাড়ি থেকে যাবেন না।
এনজিও কর্মী আব্দুল কাইয়ুম মল্লিক রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার পূর্ব মৌকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা। আর মিতু খাতুনের বাড়ি পাংশা উপজেলার কাচারি পাড়া এলাকায়। তবে, এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আব্দুল কাইয়ুমের মোবাইল ফোনে বারবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বালিয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের নারী ইউপি সদস্য স্বর্ণা বেগম বলেন, মেয়েটি এর আগেও সেখানে গিয়েছে। বিয়ের দাবিতে তারা অনশন করছেন। ছেলে ও তার পরিবার ঘরে তালা দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে।