কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ‘ইন্ডিয়া’ আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তারা আপাতত সরকার গঠনের আশা ছেড়েছেন। শক্তিশালী বিরোধী হিসেবে লোকসভায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোটটি। খবর আনন্দবাজারের।
বুধবার (৫ জুন) নয়াদিল্লিতে জোটের কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের কৌশল নিয়ে বৈঠক শেষে এ ইঙ্গিত দেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
এ সময় তার সঙ্গে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত, সিপিএমের নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, আপ নেতা সঞ্জয় সিংহসহ জোটের অন্যান্য দলের নেতারা ছিলেন।
লোকসভা নির্বাচনে জোটটি ২৩২ আসন পায়। কংগ্রেস এককভাবে ৯৯টি আসনে জিতেছে। কিন্তু এতে সরকার গঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জিত হয়নি। স্বভাবতই ২৯৩ আসন পাওয়া নরেন্দ্র মোদির এনডিএ জোট সরকার গঠনের দিকে এগোচ্ছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের বৈঠক শেষে তারা ইতিমধ্যে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ অবস্থায় বাধ্য হয়েই বিরোধী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেসের ‘ইন্ডিয়া’ জোট।
আগামী দিনের পরিকল্পনা বিষয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বক্তব্যের সারাংশ ছিল, তাড়াহুড়ো নয়, আপাতত সঠিক সময়ের অপেক্ষা করবেন তারা। সময় ও সুযোগ বুঝে পরবর্তী ‘রণকৌশল’ ঠিক করা হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, খাড়গের এই মন্তব্যেই ইন্ডিয়া জোটের মনোভাব স্পষ্ট, অর্থাৎ এখনই সরকার গঠনের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা বৃথা। বরং সরকার গঠনের দাবি জানালে ‘ক্ষমতার লোভ’ বলে বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রচারে নামতে পারেন মোদি-অমিত শাহ। এতে ‘ইন্ডিয়া’র ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে। তাই এখন সঠিক সময়ের অপেক্ষায় জোট। বৈঠক শেষে জোট শরিক আইইউএমএলের নেতা পিকে কুনহালিকুট্টি বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় স্বস্তিতে নেই বিজেপি। সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’ শিবসেনার নেতা সঞ্জয়ও বলেন, ‘জনগণ এই সরকার বদলে ফেলতে চেয়েছিল। সঠিক সময়েই সেই লক্ষ্য পূরণ হবে।’
বৈঠকের আগে চাচা রাম গোপাল যাদবকে সঙ্গে নিয়ে খাড়গের বাসভবনে পৌঁছেন উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টির (এসপি) প্রধান অখিলেশ যাদব। কংগ্রেস নেতা কেসি ভেনুগোপাল, জেএমএমের সংসদ সদস্য ও ঝাড়খন্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের স্ত্রী কল্পনা সরেন, বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক দলের নেতা এনকে প্রেমচন্দ্রও বৈঠকে অংশ নেন।