লেবানের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি ইসরায়েল হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে তাহলে ইসরায়েলের কোনো অংশ নিরাপদ থাকবে না।
বুধবার (১৯ জুন) টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এই হুমকি দেন। ইসরায়েলি হামলায় নিহত কমান্ডার তালেব আব্দুল্লাহর স্মরণে এই ভাষণ দেন তিনি।
নাসরুল্লাহ বলেছেন, যদি ইসরায়েল পূর্ণ যুদ্ধ শুরু করে তাহলে তারা যেন জল, আকাশ ও স্থল থেকে হামলার জন্য প্রস্তুত থাকে।
“যদি সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে ইসরায়েলের কোনো অংশ নিরাপদ থাকবে না। হিজবুল্লাহ কোনো নিয়ম ছাড়া কোনো বাধা ছাড়া যুদ্ধ করবে। শত্রুরা জানে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য আমরা আমাদের প্রস্তুত করেছি… কোনো অংশ… আমাদের রকেটের বাইরে থাকবে না।”— বলেন নাসরুল্লাহ।
এছাড়া প্রথমবারের মতো ইউরোপের দেশ সাইপ্রাসে হামলার হুমকি দিয়েছেন হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেল। তার মতে, সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হলে সাইপ্রাস দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীকে তাদের বন্দর ও ঘাঁটি ব্যবহার করতে দিতে পারে।
নাসুল্লাহ এ ব্যাপারে বলেছেন, “লেবাননে হামলা চালানোর জন্য যদি সাইপ্রাসের বন্দর এবং ঘাঁটি ইসরায়েলি শত্রুদের জন্য খুলে দেওয়া হয়, এটির অর্থ হবে, সাইপ্রাসের সরকার এই যুদ্ধের অংশ এবং প্রতিরোধ বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে কাজ করবে।”
তিনি আরও বলেছেন, “শত্রুরা আমাদের ভয় দেখাতে চায়। কিন্তু ভয় তাদের পাওয়া উচিত।”
ফিলিস্তিনের গাজার প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলে রকেট হামলা অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন নাসরুল্লাহ। তিনি বলেছেন, “আমরা গাজাকে সমর্থন জানিয়ে যাব এবং আমরা যে কোনো কিছুর জন্য প্রস্তুত। আমরা ভীত নই। আমাদের দাবি পরিষ্কার: গাজায় একটি সম্পূর্ণ স্থায়ী যুদ্ধবিরতি।” নাসরুল্লাহ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন সেখানে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধ বন্ধের কোনো কথা নেই।
এছাড়া দখলদার ইসরায়েলের দুই উগ্রপন্থী মন্ত্রী বাজায়েল স্মোরিচ এবং ইতামার বেন গিভিরকে নিয়েও কথা বলেছেন হিজবুল্লাহ প্রধান। তিনি বলেছেন, হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার উস্কানি দিয়ে এই দুজন ইসরায়েলকে নরকে নিয়ে যেতে চায়।