আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করার আশ্বাসে করেছেন বিয়ে। দুজন মিলে পেতেছেন সংসার। কলহ দেখা দেওয়ায় অস্বীকার করেছেন বিয়ের কথা। এমন প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম প্রধানের বিরুদ্ধে।
বিয়ে করেও অস্বীকার করায় পঞ্চগড় আমলী আদালত-২ এ মামলা করেছেন এক নারী।
চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম প্রধান বোদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
এ ঘটনায় করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই নারীর স্বামী-সন্তানও ছিল। স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের সুযোগ নেয় চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করার আশ্বাসে নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান তিনি। একপর্যায়ে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ওই নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন ইউপি চেয়ারম্যান। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দেবীগঞ্জে ভাড়া বাসায় থাকতে শুরু করেন।
গত ১৫ মে রাতে তাদের পারিবারিক কলহ হলে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম তাকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করেন এবং বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমি তোর বৈধ স্বামী নই, আমাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়নি, যেখানে নিয়ে গেছিলাম সেটি কোনো কাজী অফিস ছিল না। সেটি ওমরাহ হজ, এয়ার ট্রাভেলস এবং ভিসা প্রসেসিংয়ের অফিস ছিল। বিয়ের কোনো কাগজপত্র নেই। এ প্রতারণার কারণ জানতে চাওয়ায় ওই নারীকে মারধর করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নারী বলেন, আমাকে প্ররোচনা দিয়ে আগের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে নজরুল চেয়ারম্যান। পরে জোরপূর্বক দিনাজপুরে নিয়ে যান। সেখানে আরাফাত নামের এক হুজুরের মাধ্যমে আমাদের বিয়ে হয়। এরপর থেকে দেবীগঞ্জে ভাড়া বাসায় আমরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে থাকতে শুরু করি। তার সঙ্গে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় তার স্ত্রী পরিচয়ে গিয়েছি। একসঙ্গে রাতযাপন করেছি।
তিনি বলেন, কিন্তু এখন আমাকে অস্বীকার করে ভাড়া বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। আমি তার স্ত্রী হিসেবে তার সংসার করতে চাই। ন্যায়বিচার পেতে আদালতে মামলা করেছি, এখন বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমার কিছু হলে নজরুল চেয়ারম্যান দায়ী থাকবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগীর পক্ষে আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ডিবির ওসি অথবা পুলিশের পরিদর্শক পদের একজনকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভুক্তভোগী ন্যায়বিচার পাবেন।