ঘুরতে বের হয়ে রাস্তায় পেয়েছেন কয়েক লাখ টাকা, সঙ্গে স্বর্ণালঙ্কারও। কিন্তু তা নিজের কাছে লুকিয়ে না রেখে কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে মালিককে খুঁজে ফিরিয়ে দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) এই ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ইছাপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. মুছা। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় বাড়ি থেকে ঘুরতে বের হয়ে উপজেলার মরিচাকান্দি থেকে একটি ব্যাগ পান। পরে খুলে দেখেন কয়েক লাখ টাকা, সেই সঙ্গে রয়েছে স্বর্ণালঙ্কার। এরপরই হন্য হয়ে খুঁজতে থাকেন আসল মালিককে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মালিককে খুঁজে বের করে ফিরিয়ে দেন টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার।
বিষয়টি নিয়ে সময় সংবাদকে মুছা বলেন, ‘মরিচাকান্দি থেকে একটি ব্যাগ পাই। তখন আমার সঙ্গে কেউ ছিল না। ব্যাগটি খুলে দেখি সেখানে অনেকগুলো টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার। পরে বাড়িতে এসে পরিবার ও বন্ধুদের জানাই। খোঁজ চালাতে থাকি আসল মালিকের। একপর্যায়ে ব্যাগে থাকা একটি পরিচয়পত্রে দেখতে পাই আমাদের পাশের গ্রামের নাম রয়েছে এতে। হাবিবা আক্তার নামে ওই নারীকে খুঁজতে থাকি এবং ফেসবুকে পোস্ট দেই। পরে কয়েকঘণ্টার মধ্যে খোঁজ পেয়ে ওনার বাবার কাছে টাকা ফিরিয়ে দেই।’
মুছা আরও বলেন, ‘ব্যাগটিতে দুই লাখ ২৩ হাজার টাকা ছিল। বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কারও ছিল। ভাবলাম খুব দরকারি কোনো কাজের হতে পারে এই টাকা। মালিক হয়তো হন্য হয়ে খুঁজছে, টাকা না পেলে অনেক বড় কোনো বিপদের সম্মুখীন হতে পারে। সবশেষ সফল হয়েছি, দায়মুক্ত লাগছে নিজেকে।’
হারানো সম্পদ ফিরে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হাবিবা আক্তারের বাবা হান্নান মিয়া। তিনি জানান, টাকা হারিয়ে তার পরিবার বিপর্যস্ত ছিল, এখন সবার মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। মুছার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
অন্যদিকে মুছার এমন কাজে তাকে প্রশসংসায় ভাসিয়েছেন স্থানীয়রা। অফলাইন ও অনলাইনে বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা। তারা বলছেন এই যুগে এত টাকা পেয়ে ফিরিয়ে দেয়াটা অনন্য।
উল্লেখ্য, মুছা বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ইছাপুর গ্রামের ছেলে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।