চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার আকন্দবাড়িয়া গ্রামে বিয়ের আসরেই স্ত্রীর দাবি নিয়ে হাজির হন বরের খালাতো বোন। এরপরই ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৮ জন আহত হন।
পরে বর আশিপ রহমান (২২) নববধূকে তালাক দেন। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। গত রোববার সন্ধ্যায় আকন্দবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বর আশিপ রহমান জীবননগর উপজেলার সিংনগর গ্রামের শমসের আলির ছেলে। এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ বাবদ বরপক্ষ নববধূকে ৭৫ হাজার টাকা দেনমোহরসহ সোয়া ৫ লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছে। এ ঘটনায় পূর্বের স্ত্রীর পক্ষে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে আশিপ রহমান বিয়ের উদ্দেশে ৫০ জন বরযাত্রী নিয়ে যান। খাওয়া শেষে সন্ধ্যায় বিবাহের কাজ শেষ হওয়ার পরপরই বিয়ের আসরে হাজির হন বরের খালাতো বোন (১৮)। তার অভিযোগ ৮ মাস আগে আশিপের সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হলে বিয়ের আসরেই ত্রিমুখী সংঘর্ষ বেধে যায়।
খবর পেয়ে দর্শনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এলাকাবাসী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে ঘটনাটি। পরে সোয়া ৫ লাখ টাকা বরকে পরিশোধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বিয়ে পড়ানোর একই কাজী দিয়ে তালাক সম্পন্ন করা হয়।
দর্শনা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিয়ন্ত্রণ নেয়। গত ৮ মাস আগে বরের খালাতো বোনের সঙ্গে যে বিবাহের অভিযোগ উঠে ওই ঘটনায় বরের খালাতো বোনের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।