ইসরায়েলের একটি বন্দরে যৌথ অভিযান চালানো হয়েছে। এতে অন্তত চারটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোববার (২৩ জুন) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সকালে চারটি জাহাজকে নিশানা করে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের হাইফা বন্দরে হামলা চালানো হয়েছে। ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি ও ইরাকের সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক রেসিস্ট্যান্ট গ্রুপ এ হামলা চালিয়েছে।
হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি টেলিভিশনে এক বিবৃতিতে বলেন, দুটি গোষ্ঠী মিলে শনিবার হাইফা বন্দরে হামলা চালিয়েছে। এ সময় ড্রোন দিয়ে দুটি সিমেন্টবোঝাই ট্যাংকার এবং দুটি কার্গো জাহাজকে নিশানা করা হয়েছে।
তিনি জানান, যৌথ অভিযানে মার্কিন রণতরী ইউএস আইজেনহাওয়ারেও হামলা চালানো হয়েছে। এ ছাড়া লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী একটি জাহাজসহ আরও দুটি পণ্যবাহী বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালানো হয়েছে।
ইয়াহিয়া সারি বলেন, জাহাজগুলো এমন সব কোম্পানির ছিল যারা অধিকৃত ফিলিস্তিনের বন্দরে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছিল।
এদিকে মার্কিন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে বলেন, মার্কিন রণতরীতে হুতিদের হামলার দাবি সত্য নয়। অন্যদিকে অভিযানের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এর আগে গত মাসের শুরুতে হুতিদের এমন দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে ইসরায়েল।
হুতিরা জানিয়েছে, তাদের অভিযান সফল হয়েছে। গত অক্টোবর থেকে গাজায় হামলার জবাবে ফিলিস্তিনের পক্ষ নিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে তারা।
মার্কিন সেনা সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ৫০টির বেশি জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতিরা। তাদের হামলার ভয়ে বেশিরভাগ জাহাজ কোম্পানি গুরুত্বপূর্ণ এই দুই নৌপথ এড়িয়ে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছে। এতে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে পশ্চিমারা।
হুতিদের হামলার জবাবে বেশ কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে একটি টহল জোট গঠন করে যুক্তরাষ্ট্র। এই জোট গঠন করেও ইরানপন্থি যোদ্ধাদের থামাতে না পেরে ইয়েমেনে হুতিদের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী। তবে হামলা করেও এখন পর্যন্ত তাদের থামাতে পারেনি পশ্চিমারা।