বাবার কোলে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ছয় মাস বয়সী শিশু সাবরিন। সে হয়তো জানে না তার মা আর নেই। মেয়েকে নিয়ে বউভাতের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় নিহত হন রাইতি খান। তিনিসহ ওই দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। তবে বেঁচে ফিরেছেন রাইতি খান-সোহেল দম্পতির শিশুকন্যা সাবরিন।
শনিবার (২২ জুন) মাদারীপুর থেকে বরগুনার আমতলীতে বউভাত খেতে আসার পথে বরগুনার আমতলীর চাওড়া ও হলদিয়া ইউনিয়নের মাঝামাঝি হলদিয়া ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ে সাবরিনের মা রাইতি খানসহ ১০ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন চারজন। এ ছাড়া আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
শিশু সাবরিনের বাবা সোহেল খান জানান, সাবরিনের মা রাইতিসহ তাদের আত্মীয়স্বজনদের ১৬ জন একটি মাইক্রোবাসে ছিল। সেতু ভেঙে মাইক্রোবাসটি যখন নদীতে ডুবে যাচ্ছিল রাইতি তখন কোল থেকে সাবরিনকে কচুরিপানার মধ্যে ফেলে দেন। পেছনে একটি অটোতে সোহেলসহ দুজন আত্মীয় ছিল। তারাও পানিতে ডুবে যাচ্ছিল। সোহেল কোনোভাবে সাঁতরে ওপরে উঠে আসার সময় কচুরিপানার ওপর তার চোখ পড়ে। দেখেন ওই কচুরিপানার ওপর সাবরিন। সঙ্গে সঙ্গে নিজের সন্তানকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন তিনি।
সোহেল খান বলেন, এভাবে আমার সবকিছু কেড়ে নিলা আল্লাহ। ছোট মেয়েটাকে নিয়ে আমি এখন কীভাবে বাঁচব।