27 C
Dhaka
Tuesday, December 3, 2024

ঐশীর আত্মহত্যা নিয়ে মা-বাবার অভিযোগই সত্য প্রমাণিত

ভুল চিকিৎসায় ঢাকার দিল্লি পাবলিক স্কুলের ও-লেভেলের শিক্ষার্থী শ্রেয়সী আহমেদ ঐশীর মৃত্যু অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)।

এর আগে, ২০২১ সালের ১১ মার্চ বিএমডিসিতে অভিযোগ করেন ঐশির মা-বাবা।

জানা যায়, পরীক্ষার কয়েক মাস আগে পড়াশোনা মনে রাখতে পারছিল না বলে চিন্তিত ছিল ১৭ বছর বয়সী ও-লেভেলের শিক্ষার্থী শ্রেয়সী আহমেদ ঐশী। এ জন্য সাইকিয়াট্রিস্ট নুরুল আজিমের কাছে নেয়া হয় ঐশীকে। কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়িয়ে দিতে পারে, এমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ওষুধগুলোই ঐশীকে দিয়েছিলেন চিকিৎসক।

আরো পড়ুন  ‘খাওন দিয়া কি অইব, পানির নিচে সব শেষ’

ওষুধ সেবন শুরুর ১২ দিনের মাথায় আত্মহত্যার চেষ্টা করে ঐশী। এতে চিকিৎসক ওষুধের মাত্রা বাড়িয়ে দেন। আড়াই মাস এভাবে ওষুধ খাওয়ার পর ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর আত্মহত্যা করে ঐশী।

ঐশীর মারা যাওয়ার পর থেকে বাবা আহমেদ রশিদ ও মা শর্মিষ্ঠা আহমেদ বলে আসছিলেন, তাদের মেয়ে ঐশী আত্মহত্যা করেনি, ভুল চিকিৎসায় তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।

অভিযোগ পাওয়ার তিন বছর পর গত ২৭ জুন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. লিয়াকত হোসেনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বিএমডিসি বলেছে, কর্নেল ডা. অধ্যাপক মো. নুরুল আজিমের (অবসরপ্রাপ্ত) বিরুদ্ধে আহমেদ রশিদ ও শর্মিষ্ঠা আহমেদ ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় তাদের একমাত্র মেয়ে শ্রেয়সী আহমেদ ঐশীর মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করে ১১/০৩/২০২১ তারিখে কাউন্সিলে অভিযোগ করেন। কাউন্সিলের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে চিকিৎসক নুরুল আজিম অভিজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ হিসেবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অবহেলা করেছেন।

আরো পড়ুন  সম্পত্তির জন্য মাকে মেরে দাঁত ভেঙে দিলেন দুই ছেলে

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ প্রয়োগে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসক তানজিমা তাজরিন মূলত নুরুল আজিমের তত্ত্বাবধানে কাউন্সেলিংয়ের কাজ করতেন। কাউন্সেলিংয়ের কাজে অদক্ষতা, অপেশাদারি আচরণ ও পেশাগত স্বীকৃত কাঠামো মেনে চলার অসামর্থ্যতা প্রতীয়মান হয়েছে। এ ছাড়া ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে তার ব্যবস্থাপনাবিষয়ক জ্ঞানেও উল্লেখযোগ্য ঘাটতি প্রমাণিত হয়েছে।

কাউন্সিলের ২০১০ সালের আইনের আওতায় বিএমডিসি নুরুল আজিমের রেজিস্ট্রেশন পাঁচ বছরের জন্য ও তানজিমা তাজরিনের এক বছরের জন্য স্থগিত করেছে; যা চলতি বছরের ২৮ জুন থেকে কার্যকর হয়েছে। এ সময় চিকিৎসক হিসেবে কোথাও চিকিৎসাসেবা দিতে পারবেন না তারা। এমনকি তারা নিজেদের চিকিৎসক হিসেবেও পরিচয় দিতে পারবেন না।

আরো পড়ুন  জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজির মৃত্যু
সর্বশেষ সংবাদ