রাশিয়ার দাগেস্তান প্রজাতন্ত্রে বিভিন্ন সিনাগগ ও চার্চে সন্ত্রাসী হামলার পর নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে এনে সাময়িকভাবে নিকাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বুধবার (০৩ জুলাই) দাগেস্তানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ এই নির্দেশনা জারি করে। নিকাবের মাধ্যমে সাধারণত মুসলিম নারীরা চোখ ছাড়া পুরো শরীর ঢেকে রাখে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দাগেস্তানের বিভিন্ন সিনাগগ ও চার্চে সন্ত্রাসী হামলার মুখে সাময়িকভাবে নিকাব নিষিদ্ধ করার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দাগেস্তানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই নিকাব বিদ্যমান হুমকি দূর না হওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ।’
গত মাসে সন্ত্রাসীরা দাগেস্তানের দুই শহরে একযোগে দুটি গির্জা, দুটি সিনাগগ ও একটি পুলিশ চৌকিতে হামলা চালিয়ে অন্তত ২২ জনকে হত্যা করে। এসব হামলার তিন মাস আগে, মস্কোর উপকণ্ঠের একটি কনসার্ট হলে ইসলামিক স্টেটসে (আইএস) জঙ্গিদের হামলায় ১৪০ জনের বেশি নিহত হয়। যা রাশিয়ায় প্রায় দুই দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক সন্ত্রাসী হামলা।
মস্কো টাইমস বলছে, গত জুন মাসে হওয়া হামলায় বন্দুকধারীদের মধ্যে একজন নেকাব পরিধান করে পালানোর পরিকল্পনা করেছিল বলে এক প্রতিবেদনে উঠে আসে। ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরেই এই অঞ্চলে নিকাব নিষিদ্ধ করার বিষয়ে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হয়।
দাগেস্তানের ডেপুটি মুফতি আবদুল্লাহ সালিমভ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “হুমকিগুলো দূর না হওয়া পর্যন্ত, মুফতি নেকাব পরার উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।” তিনি বলেন, “প্রজাতন্ত্রের মানুষের নিরাপত্তার জন্য বিদ্যমান হুমকির বিষয়ে রিপোর্ট” সংক্রান্ত দাগেস্তানের প্রশাসনের সুপারিশের ভিত্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
দাগেস্তানের সিনিয়র মুসলিম ধর্মীয় নেতা আখমেদ আব্দুলায়েভ নেকাব পরিধান নিষিদ্ধ করার জন্য একটি ধর্মীয় ডিক্রি বা ফতোয়া জারি করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, নিকাব নিষিদ্ধের নির্দেশনা যতক্ষণ না “অঞ্চলে শান্তি ও শান্তি পুনরুদ্ধার করা হয়” ততক্ষণ পর্যন্ত কার্যকর হবে। পাশাপাশি যে সব পুরুষ তাদের স্ত্রীর মুখ জনসমক্ষে দেখতে চান না, তাদেরকে নিজ স্ত্রীদের বাড়িতে রাখতেও অনুরোধ করেন আখমেদ আব্দুলায়েভ।