ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ঈসমাইল হোসেনকে ধর্ষণ মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (১০ জুলাই) সকালে আদালতে সোপর্দ করা হলে কারাগারে পাঠানো হয়।
হালুয়াঘাট থানার ওসি মো. মাহাবুবুল হক কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে হালুয়াঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ঈসমাইলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। ঈসমাইল মেয়েটিকে স্ত্রী দাবি করলেও কোনো প্রমাণ দেখাতে না পারায় পরে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইসমাইল হোসেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার পশ্চিম কালিয়ানীকান্দা গ্রামের সুরুজ আলীর পুত্র।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর বাড়িতে ইসমাইল যাতায়াত করতেন। গত ৫/৬ মাস আগে ইসমাইল ওই কিশোরীর বাড়িতে এসে তাকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি পরে জেনেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন কিশোরীর মা। শুধু তাই নয়, ওই কিশোরীর মাকে রাজি করিয়ে তার মেয়েকে বাড়িতে কাজের লোক হিসেবে নিয়ে আসে ইসমাইল। সেখানেও তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
একপর্যায়ে শনিবার (৬ জুলাই) রাতে ইসমাইল আবারো মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটি ইসমাইলকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সে রাজি না হওয়ায় কিশোরী তার মাকে সব ঘটনা খুলে বলে।
বিষয়টি নিয়ে কিশোরীর মা আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলেন এবং মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানে ইসমাইলের পক্ষ থেকে বিয়ের কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় মঙ্গলবার সকালে হালুয়াঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর মা।
ওসি মো. মাহাবুবুল হক বলেন, ঈসমাইল মেয়েটিকে স্ত্রী দাবি করলেও কোনো প্রমাণ দেখাতে না পারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।