গত ২৪ ঘণ্টায় চীনের ৬৬টি সামরিক বিমান তাইওয়ানকে ঘিরে টহল দিচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ৬৬টি বিমান ও পিপলস লিবারেশন আর্মির (নেভি) সাতটি জাহাজ তাইওয়ানকে ঘিরে টহল দিয়েছে।
সামরিক বিমান দিয়ে টহলের বিষয়ে চীনের বিরুদ্ধে এমন এক সময় অভিযোগ আনল তাইওয়ান যখন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ন্যাটোর সম্মেলন চলছে। সম্মেলনে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে চীনের সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া এই সহযোগিতার ফলে পুরো ইউরোপ নিরাপত্তার ঝুঁকিয়ে রয়েছে বলেও আলোচনায় উঠে আসে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় দুটি ছবি প্রকাশ করেছে। এতে চীনের সাদা কলো রঙের জে-১৬ যুদ্ধবিমান এবং পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম অন্য একটি রঙের বোমারু বিমান দেখা গেছে। সম্প্রতি এর দুটি ছবি তোলা হয়েছে বলা জানানো হয়। তবে কোথায় এবং কখন ছবি দুটি তোলা হয়েছে সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সান লিফাং এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির বিমান ও জাহাজ তাইওয়ানকে ঘিরে টহল দিয়েছে। এগুলো দেখার পরই তদানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তাইওয়ানের এমন অভিযোগের বিষয় কোনো মন্তব্য করেনি চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিযুক্ত চীনের একজন মুখপাত্র বলেন, ন্যাটো সম্মেলনে চীনকে নিয়ে যে পরিকল্পনা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বিদ্বেষপূর্ণ এবং মিথ্যা।
ন্যাটোর সম্মেলনের বিষয়ে তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, সম্প্রতিক সময়ে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে ন্যাটোর উপস্থিতি বৃদ্ধিকে আমরা স্বাগত জানাই।
প্রসঙ্গত, তাইওয়ানকে নিজ ভূখণ্ড বলে দাবি করা চীন এরই মধ্যে দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাইকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে আখ্যা দিয়েছে। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই উইলিয়াম লাই যে বক্তব্য দেন, তার কড়া প্রতিবাদ জানায় চীন। লাই তার বক্তব্যে তাইওয়ানকে হুমকি-ধমকি না দিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন বেইজিংয়ের প্রতি। এ সময় তিনি বলেন, তাইওয়ান প্রণালির দুই পাড়ের দুই দেশ (চীন ও তাইওয়ান) কেউ কারও অধীনস্থ নয়।