27 C
Dhaka
Friday, July 5, 2024

পশ্চিমাদের আতঙ্ক এস-৪০০ কতটা শক্তিশালী?

বর্তমান বিশ্ব পরাশক্তিগুলো সমরাস্ত্রে কে কাকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে সেই প্রতিযোগিতায় নেমেছে। সেই দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ ট্রিয়াম্ফ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা।

বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে অন্যতম রুশ এস-৪০০। মার্কিন সামরিক জোট এর নাম দিয়েছে এসএ–২১ গ্রাউলার।

এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ক্রয়ের কারণে ন্যাটো সদস্য তুরস্কের ওপর সামরিক সরজ্ঞাম রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা। আজ জানব এস-৪০০ এর গঠন ও এটি কীভাবে কাজ করে তা নিয়ে।

এস-৪০০ মূলত ৭০-এর দশকে নির্মিত ‘এস–৩০০’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নত সংস্করণ। এর নকশা তৈরি রুশ সামরিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এনপিও আলমাজ সেন্ট্রাল জিডাইন ব্যুরো অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, আর নির্মাণ করে রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা করপোরেশন ‘এমকেবি ফাকেল’।

আরো পড়ুন  কে বসছেন দিল্লির মসনদে?

পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে সম্পর্ক গভীর করতে চীনে পুতিন
প্রকল্পটির প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন ডক্টর আলেক্সান্দর লেমানস্কি। ২০০৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে রুশ সশস্ত্রবাহিনীতে এস-৪০০ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এস-৪০০ এর এক ব্যাটারি মানে পুরো দুটি ব্যাটিলিয়ন। অর্থাৎ এক ব্যাটারি এস-৪০০ কিনলে পুরো দুইটি ব্যাটিলিয়ন কিনতে হবে। নির্দিষ্টসংখ্যক ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্রসহ প্রতিটি এস-৪০০ ব্যাটারির রপ্তানি মূল্য হতে পারে ১ থেকে ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার।

আরো পড়ুন  ঈদের নামাজ ও কুরবানি নিয়ে যোগীর রাজ্যে কড়া নির্দেশনা

বলা হয়ে থাকে এস-৪০০ একসঙ্গে ৩০০টি লক্ষ্যবস্তুর ওপর নজরদারি চালাতে সক্ষম। এর স্বয়ংক্রিয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারি এক সঙ্গে ৩৬টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে, যা ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে যে কোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।

এস-৪০০ এ রয়েছে কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল ভেহিকল, লং রেঞ্জ সার্ভেলেন্স রাডার, এনগেজমেন্ট অ্যান্ড ফায়ার কন্ট্রোল রাডার ও অল এলটিটিউড একুইজেশন রাডার ও মোবাইল মাস্ট রাডার।

এর মধ্যে এনগেজমেন্ট রাডার ৬০০ কিলোমিটারের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩০০টি লক্ষ্যবস্তুকে শনাক্ত করে তার তথ্য কমান্ড পোস্টে পাঠায়। সেখান থেকে লক্ষ্যবস্তু নির্দিষ্ট করার পর এনগেজমেন্ট অ্যান্ড ফায়ার কন্ট্রোল রাডার ক্ষেপণাস্ত্রকে লক্ষ্যস্তুতে আঘাতে সহযোগিতা করে।

আরো পড়ুন  সন্তানের জন্য ওষুধ কিনতে বের হওয়া নারীকে গিলে খেলো সাপ

পশ্চিমাদের সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো এই আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে স্টেল্থ প্রযুক্তি সম্পন্ন বিমান বা ড্রোনও সহজেই শনাক্ত করা যায়।

এমনকি খুব নিচ দেয় উড়ে আসা কোনো লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণেও এস-৪০০ যথেষ্ট কার্যকর এর পাশাপাশি এস-৪০০ শত্রুপক্ষের রাডার জ্যাম করতে পারে। সাধারণত একটি এস-৪০০ ব্যাটালিয়নে ৮টি লঞ্চার, ৩২টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১টি কমান্ড পোস্ট থাকে। এতে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর পাল্লা যথাক্রমে ৪০ কিলোমিটার, ১২০ কিলোমিটার, ২৫০ কিলোমিটার ও ৪০০ কিলোমিটার।

সর্বশেষ সংবাদ