27 C
Dhaka
Friday, July 5, 2024

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা ইরানের প্রেসিডেন্টসহ আরও যারা নিহত হয়েছেন

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ সবাই মারা গেছেন। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির আধা-সরকারি সংবাদমাধ্যম মেহের নিউজ এজেন্সি।

সোমবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে মেহের নিউজ এজেন্সি জানিয়েছি, ইরানের রাষ্ট্রপতি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতিসহ হেলিকপ্টারের অন্যান্য আরোহীরা ‘শহীদ’ হয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানের পাশাপাশি হেলিকপ্টারটিতে ইরানের আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তাও ছিলেন।

আরো পড়ুন  রাইসিকে বহনকারী বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার থেকে যোগাযোগ!

তারা হলেন, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, পূর্ব আজারবাইজানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলি আলে-হাশেম ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান মেহেদি মুসাভি। এ ছাড়া হেলিকপ্টারের পাইলট, কো-পাইলট ও ক্রুও মারা গেছেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে বলা হয়, রোববার (১৯ মে) ৬৩ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট রাইসি আজারবাইজান সীমান্তের কাছে ইরানের একটি জলাধার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফিরছিলেন। পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের ভার্জাকন এলাকায় জরুরি অবতরণ করার সময় তার হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ভার্জাকন এবং জোলফা শহরের মধ্যে ডিজমার জঙ্গলে। হেলিকপ্টারে আরও ছিলেন পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং সেখানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলি আলে-হাশেম। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রাইসি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন।

আরো পড়ুন  কঠোর নিরাপত্তা বলয় ফাঁকি দিয়ে ইসরায়েলের আকাশে ড্রোন ‘হুদহুদ’, সাড়ে নয় মিনিটের ভিডিও ধারণ

ইরানের বিমান দুর্ঘটনার ভয়ংকর রেকর্ড রয়েছে। এর অন্যতম কারণ, দেশটি বিমানের পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে পারে না। ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর থেকে ইরানের বিরুদ্ধে কোনো না কোনোভাবে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই সময় থেকে বিমান দুর্ঘটনায় প্রায় ২০০০ ইরানি প্রাণ হারিয়েছেন।

সর্বশেষ সংবাদ