বানের পানিতে সহায় সম্বল হারিয়ে বেঁচে থাকাই যেখানে মুশকিল, সেখানে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঋণের কিস্তি পরিশোধ। এ নিয়ে চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে বানভাসি মানুষের সঙ্গে এনজিও কর্মীদের বাগবিতণ্ডা চলছে প্রতিদিনই। সকাল থেকে বাড়িতে গিয়ে ঋণের টাকা আদায়ে বসে থাকেন এনজিও কর্মীরা।
বুধবার (২৮ আগস্ট) উপজেলার সমাজসেবা অফিসে গিয়ে এনজিও থেকে ঋণগ্রহীতা নারী সদস্যরা তাদের এ সমস্যার কথা জানান।
কয়েকজন নারী বলেন, শাহরাস্তিতে আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন হাজার হাজার বানভাসী মানুষ। তাদের ঘরে ঘরে গিয়ে কিস্তি পরিশোধে চাপ দিচ্ছেন এনজিও কর্মীরা। নিজেদের সহায় সম্বল হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। এই পরিস্থিতিতেও ঋণের কিস্তির জন্য চাপ দিচ্ছেন এনজিও কর্মীর।
নিজেদের খেয়ে পরে বেঁচে থাকাটাই যেখানে বড় চ্যালেঞ্জ সেখানে ঋণের কিস্তি পরিশোধে দিশেহারা বন্যার্ত মানুষ। তাই কয়েক মাসের জন্য কিস্তি স্থগিত করার দাবি তাদের।
তবে বন্যা দুর্গতদের ঋণের কিস্তির জন্য চাপ দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন এনজিও কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবু ইসহাক বলেন, আমি ইতোমধ্যে কয়েকটা এনজিওর সঙ্গে কথা বলেছি। এ মুহূর্তে কিস্তি আদায়ে গ্রাহককে চাপ না দেওয়ার জন্য তাদেরকে বলেছি। কয়েকটি এনজিও কথা দিয়েছে তারা এখন কিস্তি আদায় কাজ বন্ধ রাখবে।