অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ড. ইউনূস এ দেশের কৃতি সন্তান, তাকে সম্মান করি। বিএনপি ও জনতারও তার প্রতি সমর্থন আছে। তবে সংস্কারের জন্য বেশিদিন সময় নেওয়া যাবে না। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও বিচার বিভাগ সংস্কার হলেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সব বিষয় সংস্কার করবে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হাফিজ উদ্দিন বলেন, যারা আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন, ১৭ বছর ধরে নির্যাতন ও জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন, তাদের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন। দেখেবেন, রাতে যারা মিছিল করে ‘বারবার দরকার শেখ হাসিনা সরকার’, তারা আর বের হওয়ার সাহস পাবে না।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীতে অনেক দুর্বল লোক আছে, আওয়ামী প্রীতির মানুষও আছে। এদের সরিয়ে দিন। শুধু পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করা মানুষ দিয়ে দেশ পরিচালনা করা যায় না। এরা মানুষের সঙ্গে কখনো মেশেনি, মানুষের জন্য কখনো কাজ করেনি। একটি সুন্দর সরকার গঠন করে বাংলাদেশকে আবার ট্র্যাকে নিয়ে আসুন। বাংলাদেশ লাইনচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, বিতাড়িত স্বৈরাচারী শক্তি ভারতে বসে নতুন করে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে ভয়ংকর গুজব ছড়ানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে- শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নাকি পাওয়া যাচ্ছে না, কারও কাছে না কি নেই তার পদত্যাগপত্র। এর মধ্য দিয়ে একশ্রেণির মানুষকে বোঝানো হচ্ছে, শেখ হাসিনা এখনো বৈধ প্রধানমন্ত্রী। এর চেয়ে বড় মিথ্যাচার আর হতে পারে না। শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশ সরকার। তিনি যে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছেন, তাকে অন্য দেশে পাচার করছে সেই রাষ্ট্র। এরপর পদত্যাগপত্রের কী প্রয়োজন আছে?
মেজর হাফিজ বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়নি। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান। তার নেতৃত্বে জনতা মুক্তিযুদ্ধ করেছে। এরপর ১৯৭২ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস মুছে ফেলে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত।