27 C
Dhaka
Friday, July 5, 2024

এমপি আনার হত্যা মামলা লড়তে কেন আইনজীবী চান না শিলাস্তি?

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার তিন আসামিকে আবারও রিমান্ডে নিয়ে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।

আট দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে তাদের ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তিনজনের আরও আট দিনের রিমান্ড আবেদন করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। শুনানি শেষে তাদের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিক।

শুনানির এক পর্যায়ে বিচারক আসামিদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের বিষয়ে জানতে চান। এ সময় দুই আসামি আমান ও তানভীর আইনজীবী নিয়োগে রাজি হলেও অস্বীকৃতি জানান শিলাস্তি রহমান। তবে কি আনার হত্যার ঘটনায় ফেঁসে গিয়ে চাপাকষ্ট আর বুকভরা অভিমান নিয়ে আইনজীবী নিয়োগে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন তিনি?

আরো পড়ুন  জাতিসংঘ বাহিনী থেকে বাংলাদেশকে বাদ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ষড়যন্ত্র

এর আগে ২৪ মে আদালতে শুনানির সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে উচ্চস্বরে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন আসামি শিলাস্তি রহমান।

সংসদ সদস্য আনার চিকিৎসা করাতে ১২ মে গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। কলকাতার অদূরে বরাহনগরে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে এক রাত থাকার পর ১৩ মে দুপুর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন।

১৮ মে সংশ্লিষ্ট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার বন্ধু গোপাল। ২২ মে নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন্সের ৫৬-বিইউ ফ্ল্যাটে খুন হওয়ার কথা জানায় সিআিইডি। এ ঘটনায় বাংলাদেশে চারজন ও কলকাতায় দুজন গ্রেফতার হয়েছেন।

আরো পড়ুন  ‘প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসক দলে’ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি

এদিকে, সংসদ সদস্য আনার খুনের রহস্য উদঘাটনে ২৬ মে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল কলকাতায় যায়। পাঁচদিন পর ৩০ মে তারা দেশে ফেরেন। তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- ওয়ারি বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ আব্দুল আহাদ ও এডিসি শাহীদুর রহমান।

ডিবির হারুনের অনুরোধে কলকাতার সঞ্জিভা গার্ডেন্সের ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক ভাঙে দেশটির সিআেইডি। সেখানে চার কেজির বেশি খণ্ডিত মাংসপিণ্ড পাওয়া যায়। যা ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে জানা যাবে খণ্ডিত দেহগুলো সংসদ সদস্য সংসদ সদস্য আনারের কি না।

আরো পড়ুন  যানজট নিরসনে আজ থেকে বাসের গেটলক সিস্টেম চালু

দেশে ফিরে ডিবির হারুন জানিয়েছেন, কলকাতায় আনার হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্তকাজ শতভাগ সফল হয়েছে। আলামত উদ্ধার, পারিপার্শ্বিক ডিজিটাল তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করায় তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে। দুদেশের গোয়েন্দাদের তথ্য সমন্বয়ে মামলার তদন্ত পরিচালনা করায় ফলপ্রসূ ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। আরেকজন অভিযুক্ত নেপালে। ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে। তাদের ফিরিয়ে আনার পরই হত্যার মূল কারণ জানা যাবে।

সর্বশেষ সংবাদ