30 C
Dhaka
Saturday, October 19, 2024

দুর্নীতিবাজ নেতা দিয়ে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন সম্ভব নয় : মাওলানা ইউনুছ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, দুর্নীতিবাজ নেতা দিয়ে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও দেশ গঠন সম্ভব নয়। সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজি করা নেতাদের দ্বারা চাঁদাবাজমুক্ত সমাজ ও দেশ গঠন সম্ভব নয়।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফকিরবাড়ী স্ট্যান্ডে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা শাখা আয়োজিত বিশাল গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে বারবার নেতার পরিবর্তন হয়েছে, নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন না হওয়ায় দেশ দুর্নীতিমুক্ত হয়নি। মানুষ অধিকার বঞ্চিত হয়ে হাহাকার করছে। এজন্য ভালো নেতা ও নীতিবান আদর্শিক নেতার মাধ্যমে দেশকে ঢেলে সাজাতে না পারলে জনগণের দুঃখ ও দুর্দশার অন্ত থাকবে না।

এ ছাড়া তিনি বলেন, দেশের ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে যারা মেনে নিতে পারেনি, তারা প্রশাসনের কোথাও দায়িত্ব পালন করার নৈতিক অধিকার রাখে না। তারা ফ্যাসিবাদী হাসিনার দোসর হিসেবে চিহ্নিত হবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্থিতিশীল ও উন্নতি করার জন্য ঘাপটি মেরে থাকা দোসরদের অনতিবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।

আরো পড়ুন  আন্দোলনের কথা না ভেবে পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন

তা ছাড়া তিনি বলেন, লালমনিরহাটের একজন ম্যাজিস্ট্রেট যেভাবে আবু সাঈদকে নিয়ে কটাক্ষ করল যাতে জাতি হতবাক হয়েছে। এ রকম অনেক তাবাস্সুম প্রশাসনের সব সেক্টরে ঘাপটি মেরে আছে। গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, আবু সাঈদ-মুগ্ধরা রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে। আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের মাগফিরাত কামনা করছি, আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। ৫ আগস্টের শহীদরা ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

পাশাপাশি তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ দেশকে সংস্কারে কাজ করছেন। কিন্তু পীর সাহেব চরমোনাই সবসময় সংস্কারে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে তার দলে কোনো খুনি, মাস্তান, চাঁদাবাজ নেই। কেউ কোনো অপরাধে জড়িত নেই। তারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে না।

আরো পড়ুন  ফ্যাসিস্ট সরকার তাড়িয়েছি এবার ডেঙ্গুকেও তাড়াব : ডাক্তার রফিক

তিনি আরও বলেন, দেশ স্বাধীন হলেও ভয় ও উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা কাটেনি। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা দেশের যে কোনো পরিস্থিতিতে দেশ ও জনগণের পাশে ছিল, আছে , থাকবে।

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, ৫৩ বছর পর মানুষ স্বাধীনভাবে সব কিছু করতে পারছে। আগামীর বাংলাদেশে কাদের হাতে ক্ষমতা ছাড়বেন, তা নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে। কাদের হাতে দেশ, ইসলাম ও মানবতা নিরাপদ থাকবে, এমন রাজনৈতিক দল ও নেতার হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। তিনি শিক্ষা কমিশনে ইসলামী স্কলার ও আলেমকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।

সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম। বিশেষ অতিথি ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা দীন ইসলাম, সহ-সভাপতি হাফেজ আমিন উদ্দিন, মুহাম্মদ আমানউল্লাহ, মুফতি ইমদাদুল হক, ফারুক আহমদ মুন্সি, মুহাম্মদ ওমর ফারুক, শাহজাহান বেপারী, মুফতি শেখ আল-আমিন, মুহাম্মদ আশরাফ আলী।

আরো পড়ুন  আমরা চাই না কোনো ভুলের কারণে দল থেকে ছিটকে যান : নয়ন

সংগঠনের সদর উপজেলা শাখা সভাপতি আলহাজ মফিজুল হকের সভাপতিত্বে এবং আব্দুস সবুর মুন্সি ও আবুল হাসেমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে জেলা, থানা ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।

এদিকে আজ ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তরের তৃণমূল থানা প্রতিনিধি সম্মেলন ভাটারার আস-সাঈদ মিলনায়তনে নগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- আলহাজ আনোয়ার হোসেন, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, আলহাজ এম হাসমত আলী, ইন্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, মুফতি সিরাজুল ইসলাম, ডাক্তার মুজিবুর রহমান, মো. রাকিবুল ইসলাম, মুফতি নিজাম উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন পরশ, মুহাম্মদ নাজমুল হাসান প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ