ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করার পর ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় বিমান থেকে তার ছবি সংবলিত লিফলেট ফেলে বার্তা পাঠিয়েছে।
হামাসের উদ্দেশে লিফলেটে আরবিতে লেখা আছে যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায়, হামাস আর গাজা শাসন করবে না।
লিফলেটে ইসরায়েল আরও লিখেছে, যদি কেউ অস্ত্র ফেলে দিয়ে জিম্মিদের ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে তুলে দেয়, তবে তাকে মুক্তি ও শান্তিতে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হবে। লিফলেটের মাধ্যমে বার্তাকে ইসরায়েলের কৌশলগত প্রচারণার একটি নতুন উদাহরণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এর আগে বুধবার (১৬ অক্টোবর) মিসরীয় সীমান্তের কাছে দক্ষিণ রাফাহতে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে সিনওয়ার নিহত হন। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর নেতানিয়াহুর এক বিবৃতিতে লিফলেটের বিষয়বস্তু তুলে ধরা হয়।
এ ছাড়া লিফলেট ফেলার পাশাপাশি, ইসরায়েল স্থানীয় বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে, চিকিৎসক ও স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে এবং জরুরি খাদ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছে।
এদিকে গাজার আল মাগজাই ক্যাম্পে একটি হামলায় ১১ জন এবং নুসিরাতের নিকটবর্তী এলাকায় চারজন নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস ও রাফা শহরে আরও পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন। শাতি ক্যাম্পে আরও সাতজন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সামগ্রিকভাবে, গত দুই সপ্তাহে গাজার উত্তরে ৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি মারা গেছে।
হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের দাবি তারা বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন, তবে স্থানীয় জনগণ ও চিকিৎসকরা এ অভিযোগ করেছেন যে ইসরায়েলি বাহিনী নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যে গাজায় চলমান এ সংঘাত পরিস্থিতি রাজনৈতিক ও মানবিক সংকটের নতুন মাত্রা যোগ করছে। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অঞ্চলটিতে দিন দিন শান্তির সম্ভাবনা আরও দুর্বল হচ্ছে।