25 C
Dhaka
Tuesday, December 10, 2024

ভারতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে মৃতদের মধ্যে ১০৬ জনই নারী

ভারতের উত্তর প্রদেশে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১০৬ জন নারী ও সাতটি শিশু রয়েছে।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (২ জুলাই) হাথরাস জেলায় ওই অনুষ্ঠানে ভক্তদের উদ্দেশে বক্তব্য দিচ্ছিলেন এক গুরু। ওই সময় এ ঘটনা ঘটে।

কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের ভিজ্যুয়ালে দেখা যায়, সেখানে বেশ কিছু লাশ আনা হচ্ছে। উপস্থিতি দেখা গেছে কান্নারত স্বজনদেরও।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, হাথরাসের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি ‘সৎসঙ্গ’র আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভায় হাজির হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। এক গুরুর ‘সৎসঙ্গে’ গিয়েছিলেন তারা। জানা গেছে, ওই গুরুর নাম নারায়ণ শঙ্কর হরি।

আরো পড়ুন  ১০ পদের জন্য ইন্টারভিউ দিতে গেলেন দুই হাজার প্রার্থী

স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খুব ছোট একটি জায়গায় এই ‘সৎসঙ্গর আয়োজন করা হয়েছিল। অল্প জায়গায় বহু মানুষের ভিড়ে ‘দমবন্ধকর’ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অনুষ্ঠানস্থলে নিঃশ্বাস নিতে না পারায় ‘সৎসঙ্গে’ উপস্থিত লোকজনের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল। এরপর লোকজন সেখান থেকে সরে যেতে তাড়াহুড়ো শুরু করলে পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

পুলিশ আরও জানায়, অনুষ্ঠানের সময় আবহাওয়া খুব বেশি গরম ও আর্দ্র ছিল। তবে সেখানকার পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল এবং এই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটল, তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।

আরো পড়ুন  ‘বিস্ট হাউস’: কী আছে সৌদিতে চালু হওয়া নাইটক্লাবে

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই সৎসঙ্গ ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে ছিল। বহু মানুষ একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎই হুড়োহুড়ি শুরু হয়। আবার যেখানে এই সভা চলছিল, সেই রাস্তাও সোমবার (১ জুলাই) রাত থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।

আর মঙ্গলবার রাস্তা খুলে দিতেই তাড়াহুড়ো করে লোকজন বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন, তখনই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সবশেষ পাওয়া তথ্যানুযায়ী, মৃতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশি। এছাড়া বেশ কয়েকটি শিশুরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুন  প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পেল কোন দেশ

এদিকে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনাটির খোঁজ-খবর নিয়েছেন। তার নির্দেশে এরইমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লাখ রুপি এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।

সর্বশেষ সংবাদ