সিলেটের বন্দরবাজারে গুলিতে নিহত সাংবাদিক এ টি এম তুরাব হত্যা মামলার পলাতক আসামি মুক্তিযোদ্ধা লীগ নেতা সেলিম মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে বন্দরবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সেলিম মিয়া সিলেট জেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের সহসভাপতি।
র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. মশিহুর রহমান সোহেল বলেন, সাংবাদিক তুরাব হত্যা মামলার আসামি সেলিম মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই সিলেট মহানগরের বন্দরবাজার এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাংবাদিক এ টি এম তুরাব। তিনি দৈনিক নয়াদিগন্ত এবং জালালাবাদের প্রতিবেদক ছিলেন। ঘটনার এক মাস পর ১৯ আগস্ট তুরাবের ভাই আবুল আহসান মো. আযরফ (জাবুর) বাদী হয়ে সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালকে। এ ছাড়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ মোট ১৮ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয় ২০০/২৫০ জনকে।
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. সাদেক দস্তগীর কাউসার, উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ, সহকারী কমিশনার মিজানুর রহমান, সিলেট কোতোয়ালি থানার সাবেক ওসি মঈন উদ্দিন এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব উদ্দিনসহ আরও বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ও পুলিশ কর্মকর্তা।
অভিযোগ ওঠে, তুরাব হত্যার পর তার পরিবার পুলিশের কাছে মামলা করতে গেলে প্রাথমিকভাবে তাদের অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়নি। পুলিশ এই ঘটনাটি একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে রেকর্ড করে। এরপর পরিবার আদালতের শরণাপন্ন হয়ে ন্যায়বিচারের আবেদন জানায়।