29 C
Dhaka
Saturday, June 29, 2024

মোবাইল চুরির অপবাদে নারীকে বেঁধে নির্যাতন

মোবাইল চুরির অপবাদে পঞ্চগড়ে এক নারীর কোমরে রশি বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট বাজারে ঘটনাটি ঘটেছে।

এ ঘটনার মোবাইলে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই নারীর নাম মজিদা বেগম (২৬)। তিনি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বামনহাট ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আজিজুর রহমানের স্ত্রী। দুই সন্তানের জননী হলেও, সাংসারিক কলহের জেরে একই উপজেলার ঝলঝলি গ্রামে দিনমুজুর বাবা মোজাম্মেল হকের বাড়িতে থাকেন তিনি।

সেই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ভ্যানগাড়িতে এক নারীর সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছেন কয়েকজন নারী। এর মাঝে এক ব্যক্তি ওই নারীকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন। আর তা দাঁড়িয়ে উপভোগ করছেন উৎসুক জনতা। তবে তর্কে জড়ানো নারী ও পুরুষের পরিচয় শনাক্ত করা না গেলেও তারা উপজেলার ঝলঝলি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

আরো পড়ুন  চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলট নিহত

স্থানীয়রা বলছেন- ঝলঝলি গ্রামের কয়েকজন নারী ও পুরুষ মোবাইল চুরি নিয়ে তার সঙ্গে তর্কে জড়ান। এর মাঝে এ ঘটনাটি ঘটে।

জেমজুট বাজারের ভাই ভাই হোটেল ব্যবসায়ী মাসুম বিল্লা বলেন, সকালে দোকানের কাজ করছিলাম। হঠাৎ পঞ্চগড় থেকে একটি ভ্যানে দুইটা মহিলা ও একটা পুরুষ আমার দোকানের সামনে আসে। এর মাঝে তারা তর্কে জড়ায়। ওই নারী পুরুষটাকে একপর্যায়ে গালাগাল করে আমার দোকানে চলে আসে। তার সঙ্গে থাকা ছেলেটি আমার পাশের দোকান থেকে লাঠি নিয়ে তাকে মারতে গেলে ওই নারীও তাকে মারতে যায়। এর মাঝে ৮-১০ জন মহিলা এসে তাকে ধরে-বেঁধে ভ্যানে করে নিয়ে যায়। জানতে পেরেছি তারা ঝলঝলি থেকে এসেছে।

আরো পড়ুন  ভাইয়ের জন্য ওষুধ আনতে গিয়ে ফেরা হলো না নাফিসের

ওষুধ ব্যবসায়ী হাবিবুল্লাহ বলেন, আমি হঠাৎ অনেক লোকজনকে দেখতে পাই। এর মাঝে এক নারীকে ৮-১০ জন নারী আক্রমণ করছে। তাদের কাছে জানতে গেলে বলেন, মোবাইল চুরি করেছে, তাই তাকে ধরতে এসেছে সবাই। পরে তাকে রশি দিয়ে বেঁধে নিয়ে যায়। বিষয়টি আমার কাছেও খুব খারাপ লেগেছে। তাই মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড করি।

আরো পড়ুন  রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করার আশ্বাসে ঘনিষ্ঠতা, অ্যাজেন্সি অফিসে বিয়ে, অতঃপর...

ঝলঝলি গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমান বাবুল বলেন, ওই মেয়েটি কারও কথা শোনে না। বাড়িতেও থাকে না। চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ করে। সর্বশেষ মোবাইল চুরি করায় লোকজন তাকে ধরে নিয়ে এসেছে। চেয়ারম্যান ও মেম্বারের মাধ্যমে একটি সালিশ করে তার বাবার হাতে মেয়েটিকে তুলে দিয়েছে গ্রামবাসীরা। তার এমন কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সবাই।

বোদা থানার ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত না। এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।

সর্বশেষ সংবাদ