27 C
Dhaka
Tuesday, July 2, 2024

অনলাইনে শত শত তরুণীর অশ্লীল বিজ্ঞাপন, ব্ল্যাকমেইল করে চলতো দেহব্যবসা

শুরুতে মডেলিং বা চাকরির প্রলোভনে তরুণীদের থেকে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করা হতো। পরে সেসব ভাইরাল করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বাধ্য করা হতো ডিজিটাল দেহ ব্যবসায়। দীর্ঘ অনুসন্ধানে এমনই এক ভয়ানক চক্রের খোঁজ পাওয়া গেছে। তাদের কাছে জিম্মি শত শত তরুণী পরিণত হয়েছিলেন আধুনিক যৌন দাসীতে। শেষ পর্যন্ত চক্রটির ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। বুধবার (২৬ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।

আরো পড়ুন  ২২ বছরের স্বামীর বাড়িতে ৪৩ বছর বয়সী স্ত্রীর অনশন

গত বছর পমপম চক্রের আলোচিত অনুসন্ধানে নেমে দুই শিক্ষার্থীর খোঁজ পাওয়া যায়, যারা মেডিকেলে পড়ালেখার আড়ালে গড়ে তুলেছিল অন্ধকার এক জগত। যেখানে মডেলিং কিংবা চাকরির প্রলোভনে তরুণীদের ফাঁদে ফেলে বাধ্য করা হতো ডিজিটাল দেহ ব্যবসায়।

চক্রটির নেতৃত্বে ছিল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী এরশাদ শিকদার ওরফে মেহেদী হাসান এবং তার খালাতো ভাই ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের আখতার ওরফে শেখ জাহিদ বিন সুজন। ছদ্মবেশে দীর্ঘ অনুসন্ধানে এদের পরিচয় এবং অবস্থান নিশ্চিতের পর অভিযান শুরু করে সিআইডির সাইবার পুলিশ।

আরো পড়ুন  বাংলাদেশি যুবককে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দিলো ভারতীয়রা

মঙ্গলবার (২৫ জুন) যশোরের নরেন্দ্রপুরের বাসা থেকে মেহেদী এবং সাতক্ষীরার তালা থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদিনের টানা অভিযানে গ্রেপ্তার হয় দুই তরুণীসহ চক্রের আরও ৬ সদস্য।

দেশ-বিদেশে চক্রটির হাজারো সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। নির্দিষ্ট অর্থ দিয়ে যারা যুক্ত আছেন সিক্রেট টেলিগ্রাম গ্রুপগুলোতে। সদস্যদের ফোন ও ল্যাপটপে গোপনে ধারণ করা বিভিন্ন বয়সী নারীদের আপত্তিকর অসংখ্য ছবি ও ভিডিওর সন্ধানও মিলেছে।

আরো পড়ুন  মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মান চান না বীর মুক্তিযোদ্ধা হারিছ মিয়া
সর্বশেষ সংবাদ