27 C
Dhaka
Wednesday, July 3, 2024

লোকসভা নির্বাচনে কতজন মুসলিম প্রার্থী জয় পেয়েছেন?

ভারতের সদ্যসমাপ্ত ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে মোট ৭৮ জন মুসলিম প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তার মধ্যে ১৫ জন মুসলিম প্রার্থী জয় পেয়েছেন। বিজয়ী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানও।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১৯ সালের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন ১১৫ জন মুসলিম প্রার্থী। সেই সংখ্যা কমে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৭৮ জন।

তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থেকে কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরীকে হারিয়েছেন সাবেক বিশ্বকাপজয়ী মুসলিম ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। জয়ের ব্যবধান ছিল ৮৫ হাজার।

মুসলিম প্রার্থীদের মধ্যে আরও জিতেছেন কংগ্রেস প্রার্থী ইমরান মাসুদ। তিনি উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর আসনে ৬৪ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয় পান।

আরো পড়ুন  সর্বকনিষ্ঠ হজযাত্রীর মৃত্যুতে কাঁদছে সৌদি

সমাজবাদী পার্টির নেতা ইকরা চৌধুরী উত্তর প্রদেশের কাইরানা আসনে বিজেপি নেতা প্রদীপ কুমারকে ৬৯ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন। একই রাজ্যের আরেক আসন গাজিপুরে জিতেছেন সমাজবাদী পার্টির মুসলিম প্রার্থী আফজাল আনসারি।

এআইএমআইএম সভাপতি আসাদুদ্দিন ওয়াইসি হায়দরাবাদে নিজের আসনটি ধরে রেখেছেন। তিনি বিজেপির মাধবী লতা কম্পেলাকে হারিয়েছেন।

লাদাখে স্বতন্ত্র মুসলিম প্রার্থী মোহাম্মদ হানাফি এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লা আসনে আরেক স্বতন্ত্র মুসলিম প্রার্থী আবদুল রশিদ শেখ ৪ লাখ ৭০ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন।

আরো পড়ুন  যে যুদ্ধে বদলে যাবে বিশ্ব মানচিত্র

উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী মহিবুল্লাহ রামপুর আসনে ৪ লাখ ৮১ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন। সাম্ভাল আসনে জিতেছেন জিয়াউর রেহমান।

ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রার্থী মিয়া আলতাফ আহমদ জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ-রাজৌরি আসনে জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকে হারিয়েছেন। এ ছাড়া শ্রীনগরে এনসি প্রার্থী আগা সৈয়দ রুহুল্লাহ মেহদি জয়ী হয়েছেন। আমাসের ধুবড়ি আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী রাকিবুল হুসেইন ১০ লাখ ১২ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন।

মঙ্গলবার ভারতের ৫৪৩ লোকসভা আসনের চূড়ান্ত ফল অনুযায়ী ২৪০টি আসনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। ৯৯টি আসনে জয় পেয়েছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে একটি দল বা জোটের ২৭২টি আসন প্রয়োজন। প্রাপ্ত ফলাফলে কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠনের সুযোগ পাচ্ছে না।

আরো পড়ুন  ইসরাইলি আগ্রাসনে নিশ্চিহ্ন ফিলিস্তিনের চার প্রজন্ম!

তবে ঘোষিত ফল অনুযায়ী জোটগতভাবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) মোট আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯৩টি। অন্যদিকে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের মোট আসন সংখ্যা ২৩৩টি। ফলে জোটের দিক দিয়ে এনডিএ যেহেতু ম্যাজিক ফিগার পেয়েছে নিয়ম অনুযায়ী তারাই সরকার গঠন করবে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও মঙ্গলবার এক ভাষণে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতা গ্রহণের কথা বলেছেন।

সর্বশেষ সংবাদ