27 C
Dhaka
Wednesday, July 3, 2024

বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন কর্মকর্তারা, ক্ষুব্ধ হয়ে কনেকে হত্যা যুবকের

ভারতের কর্ণাটকে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে কনেকে হত্যা করেছেন বিয়ে করতে চাওয়া যুবক। তিনি ১৬ বছর বয়সী ওই কনেকে শিরশ্ছ্বেদের মাধ্যমে হত্যা করেন। এরপর তার কাটা মাথা নিয়ে পালিয়ে যান।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, আজ শুক্রবার (১০ মে) কর্ণাটকের মাদিকেরি তালুকার হামিয়ালা গ্রাম থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে ওই কিশোরীর মাথা এখনো উদ্ধার করা যায়নি বলে জানিয়েছে কর্ণাটক পুলিশ।

আরো পড়ুন  ইসরায়েলি ঘাঁটিতে সরাসরি আঘাত হানল হিজবুল্লাহ

এনডিটিভি আরও জানিয়েছে, প্রকাশ নামের ৩২ বছর বয়সী ওই যুবকের সঙ্গে ১৬ বছর বয়সী কিশোরীর বিয়ের সব আয়োজন করা হয়। কিন্তু তখন বাল্যবিয়ের খবরটি শিশু কল্যাণ বিভাগের কাছে পৌঁছায়। তখন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বিয়ের অনুষ্ঠানে যান এবং সেটি বন্ধ করে দেন। এছাড়া তারা কনের পিতা-মাতাকে হুঁশিয়ারি দেন যদি ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

আরো পড়ুন  আরও শক্তি সঞ্চয় করলো বেরিল, আঘাত হানবে যেসব দেশে

শিশু কল্যাণ বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শ শুনে কনের বাবা-মা বিয়ে স্থগিত এবং ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের মেয়ের বিয়ে না দিতে সিদ্ধান্ত নেন।

তবে ওই যুবক এই সিদ্ধান্ত মানেননি। তিনি পরবর্তীতে কনের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মার ওপর হামলা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক কনের বাবাকে লাথি মারেন এবং তার মাকে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করেন। এরপর ওই কিশোরী কনেকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে ১০০ মিটার দূরে নিয়ে যান এবং সেখানে গিয়ে নৃশংসভাবে তার শিরশ্ছ্বেদ করে মাথা নিয়ে পালিয়ে যান।

আরো পড়ুন  ৪৩ বছর জেল খাটার পর জানা গেল তিনি নির্দোষ!

ওই কিশোরীর মাথা খুঁজে বের করতে পুলিশ এখনো অভিযান চালাচ্ছে।

সর্বশেষ সংবাদ