চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটের খুব কাছে রয়েছে বাংলাদেশ। ছয়টি দল ইতোমধ্যে আসরের সুপার এইট পর্ব নিশ্চিত করে ফেলেছে। বাকি দুটি স্থানের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও স্কটল্যান্ড।
গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দিয়ে নির্ধারণ হবে টাইগারদের সুপার এইটের ভাগ্য। তবে নেপালকে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করলেই টাইগারদের সামনে রয়েছে বিশাল সুবিধা। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে পারবে টাইগাররা।
মূলত সুপার এইটে ওঠার প্রতিটি দলই পরের আসরে সরাসরি অংশ নেবে। তাদের সঙ্গে আয়োজক ভারত, (এই আসরেও তারা সুপার এইট নিশ্চিত করেছে), টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তিনে (আগামী ৩০ জুনের মধ্যে) থাকা দলও সরাসরি খেলবে।
এবারের মতো পরের বিশ্বকাপেও মোট ২০টি দল অংশগ্রহণ করবে। সরাসরি খেলবে ১৩টি দল। বাকি সাত দলকে পেরিয়ে আসতে হবে বাছাইপর্ব। ইউরোপ থেকে ২টি, পূর্ব এশিয়া থেকে ১টি এবং এশিয়া ও আফ্রিকার বাছাইপর্ব থেকে ২টি দল মূল আসরে খেলবে।
এবারের আসরের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়া পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডকেও বাছাই পর্ব পেরিয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলতে হবে। তবে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তিনে থাকলে কপাল খুলবে তাদের। তবে কোনো ম্যাচ না থাকায় সেটি কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
অন্যদিকে বাংলাদেশের গ্রুপ থেকে সুপার এইটের আগেই বিদায় নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তবে ২০২৬ সালে ভারতের সঙ্গে সহ-আয়োজক হিসেবে থাকবে তারা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দশম আসরে লঙ্কানদের তাই এবারের আসরের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলেও ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে না।