27 C
Dhaka
Tuesday, July 2, 2024

রাতের আঁধারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজে পার্টি ও মদের আসর বসানোর অভিযোগ

চাঁদপুর সদর উপজেলায় ঈদুল আজহার বন্ধকালীন সময়ে অনুমতি ছাড়া রাতের আঁধারে স্কুলে ডিজে পার্টি ও মদের আসর বসানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী যুবকদের বিরুদ্ধে। সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বহরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি এতদিন গোপন থাকলেও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের গ্রুপে ডিজে পার্টি ও মদের বোতলের ছবি চলে আসে। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ছাড়াও সচেতন মহল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে, ঈদুল আজহার বন্ধকালীন সময়ে অনুমতি ছাড়া স্থানীয় প্রভাবশালী যুবকরা ওই বিদ্যালয়ে রাতের আঁধারে ডিজে পার্টি ও মদের আসরের আয়োজন করে। এমন কাজে বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকও জড়িত আছেন বলেও অভিযোগ করেছেন বর্তমান ও প্রাক্তন একাধিক শিক্ষার্থী।

আরো পড়ুন  স্ত্রীকে ধর্ষণ, প্রতিশোধ নিতে ধর্ষককে গলা কেটে হত্যা

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা জানায়, ঈদুল আজহার পরদিন মঙ্গলবার (১৮ জুন) দিবাগত রাতে স্থানীয় বাসিন্দা সোলেমান মাঝির ছেলেসহ তার সহপাঠীরা বিদ্যালয়ে ডিজে পার্টি করে। একই সময় সেখানে মদের আসর বসে। ওই ঘটনার পর মদের খালি বোতল একাডেমিক ভবনের বারান্দা ও মাঠে পড়ে ছিল।

জানা গেছে, বিদ্যালয়ে ওইদিন নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব ছিলেন মোক্তার কাজী নামের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী। কিন্তু তিনি ওইদিন রাতে বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন না করে অন্য কাউকে সে দায়িত্ব দিয়ে যান। এরপর রাত ১২টার পরে বিদ্যালয়ে আসেন।

আরো পড়ুন  রুমায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কেএনএ’র ৩ সদস্য নিহত

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে এ বিষয়ে কথা হলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমান হোসেন প্রথমে বিষয়টি ‘জানেন না’ বললেও পরবর্তীতে ঘটনার বিবরণ জেনে সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি ঘটনার রাতে স্থানীয় হোসাইন বেপারী নামে ব্যক্তির মাধ্যমে এ ঘটনা জানতে পারি। ওই সময় নৈশপ্রহরী মোক্তার কাজী ছিলেন না। তিনি ব্যক্তিগত কোনো কাজে বাইরে ছিলেন। রাত ১২টার পর তিনি বিদ্যালয়ে আসেন। ঘটনাটি জেনে আমি তাৎক্ষণিক বহিরাগত যুবকদের চলে যাওয়ার জন্য বলি। এ সময় ঘটনাটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশে নিষেধ করার পাশাপাশি তিনি বলেন, আমি বিষয়টি পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে জানিয়েছি।

আরো পড়ুন  কৃষকলীগ নেতার বিরুদ্ধে ছাগল চুরির অভিযোগ

এ বিষয়ে কথা হলে চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিসার প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, আমি বিষয়টি জেনে খুবই মর্মাহত। কারণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কর্মকাণ্ড কাম্য নয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো দেখবে। কোনো প্রয়োজন হলে আমাদের জানাবে। তারপরও আমি বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলবো।

সর্বশেষ সংবাদ